ফসল ডেস্ক: বর্তমানে দেশে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে ধানে লক্ষ্মীর গু ও ব্লাস্ট রোগ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের লক্ষ্মীর গু ও ব্লাস্ট রোগে প্রতিকারে যা করতে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নিচের বিষয়গুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

লক্ষ্মীর গু: ব্রি ধান৪৯, বিনা ধান৭, স্বর্ণা ও হাইব্রিড জাতে এ রোগটি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মূলত ধানে ফুল আসার সময় বৃষ্টি হলে এবং তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকলে এ রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে ধানের ফুল বের হওয়ার সময় বিকাল বেলা প্রোপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- টিল্ট ৫-৭ দিন ব্যবধানে ৫০০ মিলি/হেক্টর মাত্রায় দুই বার প্রয়োগ করলে ধানে লক্ষ্মীর গু রোগটি কম হয়।

তাই কৃষকভাইদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে যারা ব্রি ধান৪৯, বিনা ধান৭, স্বর্ণা ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন তারা অবশ্যই ধানের ফুল বের হওয়ার সময় উপরোক্ত ছত্রাকনাশকটি জমিতে আগেভাগেই স্প্রে করবেন।

কারণ রোগ দেখার পর ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে কোন ফল পাওয়া যাবে না। ব্লাস্ট আমন মওসুমে সুগন্ধি জাতে এ রোগটি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বেশি বৃষ্টি হলে এবং তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকলে প্রথমে পাতায় পাতা ব্লাস্ট এবং পরবর্তীতে শীষ বের হলে শীষ ব্লাস্ট হতে পারে।

যে সব জমিতে পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে সে সমস্ত জমিতে ছত্রাকনাশক যেমন ট্রুপার (৫৪ গ্রাম/বিঘা) অথবা নেটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) অথবা ট্রাইসাক্লাজল গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক পরিমাণমত ৫-৭ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে।

আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে যেসব জাতের ধান চাষ করবেন

রোগটি যেহেতু পাতা থেকে শীষেও যেতে পারে তাই শীষ বের হওয়ার সাথে সাথেই শেষ বিকেলে উপরোক্ত ছত্রাকনাশক একই নিয়মে আগেভাগেই স্প্রে করতে হবে। ধানের লক্ষ্মীর গু ও ব্লাস্ট রোগে প্রতিকারে যা করতে হবে এ বিষয়ে আপনাদের আরও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন, আমরা তার উত্তর দিয়ে দিবো।