বর্তমানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাং সেলিম উদ্দিন। গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ তে তিনি এ মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা এ সচিব সম্পর্কে কিছু তথ্য আসুন জেনে নেয়া যাক।

মোহাং সেলিম উদ্দিন ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল নওগাঁ জেলায় সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চাঁদপুর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান জেলা পরিষদে সহকারী/সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় “উপজেলা নির্বাহী অফিসার” ও ভোলা জেলায় “জেলা প্রশাসক” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মন্ত্রণালয় পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব/ উপসচিব/ যুগ্মসচিব/ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ২৬/০৯/২০২০ তারিখে তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি গত ২৪/০৬/২০২১ তারিখে বিদ্যুৎ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে যোগদান করেন।

অতঃপর গত ০৬/০১/২০২২ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে তাঁকে প্রেষণে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বদলী করা হয়। ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনে তাঁকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলী করা হয়।

মোহাং সেলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগাড়া ইউনিয়নে এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে ১৯৮৮ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘‘ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট’’ বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রশিক্ষণ ও সরকারী কর্মপোলক্ষে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, ভারত, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমীরাত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশে সফর করেন। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।