গোমতীর চরে বন্যার পর আবারও শাকসবজি আবাদে ব্যস্ত কুমিল্লার কৃষকরা
গোমতীর চরে বন্যার পর আবারও শাকসবজি আবাদে ব্যস্ত কুমিল্লার কৃষকরা

গত আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার গোমতী নদীর চরের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকেরা আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। গোমতীর চরের কৃষিজমিগুলোতে এখন শাকসবজির আবাদে ভরে উঠেছে, আর কৃষকেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জমি প্রস্তুত ও ফসল পরিচর্যায়। চরের প্রায় সব জমিতেই নতুন করে শাকসবজি চাষ শুরু হয়েছে, যা বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করবে।

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কৃষক আবদুল মমিন জানান, তিনি ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন, যা কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রির উপযোগী হবে। শাকসবজির বর্তমান বাজারমূল্য ভালো থাকায় তিনি বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় আছেন।

বুড়িচং উপজেলার ভান্তি এলাকায় মুলা চাষি আলী হোসেন জানান, বন্যায় তাঁর জমির মুলা শাক হিসেবে খাওয়া যাচ্ছে এবং প্রতি আঁটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, সাহাব উদ্দিন মিষ্টিকুমড়ার পাশাপাশি মিষ্টি আলুর লতা রোপণ করেছেন, যা থেকে ভালো আয় হওয়ার আশা করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, কৃষকেরা শাকসবজি আবাদে পুরোদমে কাজ করছেন এবং আশা করা হচ্ছে সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব শাকসবজি বাজারে আসবে। এতে সরবরাহ বাড়লে শাকসবজির দাম অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অক্টোবরের শেষের দিকে নতুন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথম আলো

আআ/এগ্রিকেয়ার