কৃষি, কৃষককে বাঁচাতে কৃষি

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি, কৃষককে বাঁচাতে কৃষি কাজের ঝুঁকি রাষ্ট্রকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা কারণে ফলন হ্রাস ও ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। কৃষি, কৃষককে বাঁচাতে কৃষি কাজের ঝুঁকি রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষিতে জাতীয় বাজেট, ভর্তুকী ও প্রণদনা বাড়াতে হবে।



সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে পবা ও বারসিক আয়োজিত ‘ধান ও কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য : সংকট ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির আলোচনায় পঙ্কজ ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা ধানসহ কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও কৃষির চলামান সংকট নিরসনে সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের কথা তুলে ধরে একটি কৃষক বান্ধব কৃষিনীতি দাবী তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ছবি বিশ্বাষ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মাঠ পর্যায়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানকার কৃষকরা মাত্র ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করছে।

সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে পারছে না তারা। ধানের ক্রয়সীমা বাড়িয়ে সকল কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রস্তাব রাখেন তিনি।

কৃষক সমিতির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু মানিকগঞ্জ এর মাঠ পর্যায়ের উদাহরণ টেনে বলেন কৃষকরা সরকারের কাছে সরাসরি ধান বিক্রি করতে নানা ভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফসলের গুদাম ও কোল্ড-স্টোরেজ গড়ে তোলার দাবী জানান।

আরও পড়ুন: এমন যদি হতো… প্রগাঢ় হতো কৃষকের হাসি

মানিকগঞ্জের কৃষক রোকেয়া ও ইব্রাহিম মিয়া ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ফসল কেনার জন্য কৃষককে সকল পর্যায়ের সহযোগীতা করার দাবী জানান।

তারা কৃষকের জন্য শস্য বীমা, ঝুঁকি ভাতা পেনসনের জোর দাবী জানান। এছাড়াও সারা দেশে ধানের মৌসুমে উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে ফসল বিক্রি করার নানা কষ্ট ও দূর্ভোগের কাহিনী তুলে ধরা হয় সেমিনারে।



উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিক এর সমন্বয়ক ও গবেষক পাভেল পার্থ। যেখানে চলমান সংকট মোকাবেলার জন্য সুনির্দিষ্ট ১৬টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান-এর সভাপতিত্বে ও পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল এর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন, বারসিক-এর পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, বাংলাদেশ কনজিউমার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমমেদ, ডাব্লিউবিবি-ট্রাস্ট-এর প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দ অন্যন্যা রহমান এবং রাস্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত কৃষক বাবর আলী প্রমুখ।

কৃষি, কৃষককে বাঁচাতে কৃষি কাজের ঝুঁকি রাষ্ট্রকেই নিতে হবে এমন মন্তব্যের সাথে সেমিনারে উপস্থিত বক্তারাও একমত পোষণ করেন।