কৃষি শ্রমিকের সমাধানে অচিরেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি শ্রমিকের সমাধানে অচিরেই শতভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, ধান কাটা ও লাগানোসহ কৃষি কাজে কৃষি শ্রমিক এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আমরা যান্ত্রিকীকরণ শুরু করেছি এবং অচিরেই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ করবো।



আজ মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮ এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি শ্রমিকের সমাধানে অচিরেই শতভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষিতে ৯হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর ভর্তূকি থাকে। এই টাকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। বাকী ৩ হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।

তিনি বলেন, সারের ব্যবহার অনেক কৃষক পরিমিতভাবে করেন না। অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার।

কৃষির সকল ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারা বছর ধরে ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হাতবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, মিলারদের আমরা বাধ্য করছি জরুরী ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য। সরকার ১২ লাখ টন ধান ও ২ লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের ৩কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।

তবে সীমিত পর্যায়ে রপ্তানিরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে সরকার কৃষকের সাথে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।  বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কথা বলছেন।

১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: ধানের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, দ্রুতই সমাধান হবে

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা সম্ভব, কৃষিমন্ত্রী বরাবর খোলাচিঠি

যে নেত্রী খাদ্যে দেশকে  উদ্বৃত্ত করতে পারে, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতেও পারবে। কৃষকদের কল্যানে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান (সংসদ সদস্য) ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮ এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।