নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বেশকিছুদিন আগে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪ টাকা পিস, হালি ৫৬ টাকা। এখন ১০ টাকায় নেমেছে। সে হিসেবে হালিতে কমেছে ১৬ টাকা। এতে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিটির মূল্য ১০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও শেওড়াপাড়া বাজারেও এই মূল্যে তা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ডিমের হালি ৪০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ডিম আমদানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো দাম কমানো। আমরা সেখানে সফল হয়েছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা দর ১২ টাকা বেঁধে দেয়। এর তিন দিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া শুরু করে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ডিম আমদানি শুরু হওয়ার পরপরই দাম কমতে শুরু করে। তবে কোনও প্রতিষ্ঠান যেন কৃত্রিমভাবে আবার দর বৃদ্ধি করতে না পারে, সেই বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। প্রতিযোগিতা কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আমদানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু ডিম নয়, আলু, তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল বা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানের মতে, ভারত থেকে আমদানি করা মাত্র ৬২ হাজার ডিম ভেঙে দিয়েছে সিন্ডিকেট। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা বলছেন একই কথা।
এগ্রিকেয়ার/এমএইচ/২০২৩