ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস ও মিশরের পেঁয়াজ
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস ও মিশরের পেঁয়াজ

ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস ও মিশরের পেঁয়াজ। দেখতে বড় আর ব্যতিক্রমী রঙের এ পেঁয়াজ নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। আমদানিকারকরা বলছেন, টানা কয়েকমাস ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বিকল্প কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আনছেন তারা। এতে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ কমায় দামও কমতে শুরু করেছে।

ব্যতিক্রমী এ পেঁয়াজের রং কিছুটা সাদাটে, আকারেও বেশ বড়। ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের এই পেঁয়াজ চট্টগ্রামরে খাতুনগঞ্জে মিলছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন গুদামে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে এ পেঁয়াজ।

প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার দূরদেশ মিশর থেকেও পেঁয়াজ এসেছে খাতুনগঞ্জে। এটিও দেখতে বড় আকৃতির, লাল রঙের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাস টানা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি হওয়ায়, বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকছেন আমদানিকারকরা। পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকেও। ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় অনেকটা সস্তায় মিলছে এসব পেঁয়াজ। নেদারল্যান্ডসের এর পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৪, মিশরীয় ৬০ থেকে ৬৫, পাকিস্তানি ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলছেন, ‘নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ডের পেঁয়াজ যেগুলো আছে এগুলো হোটেলে চলে, ভালো দোকানে এগুলো চলে না। মিশর, পাকিস্তানের পেঁয়াজ আছে। যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে বাজারে দাম একটু কমেছে।’

বড় আকারের এই পেঁয়াজের মূল ক্রেতা হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কিনছেন কেউ কেউ। যা চাহিদার প্রায় অর্ধেক। এতেই চাপ কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের। ফলে দামও কিছুটা পড়তির দিকে। ১০০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ এখন ৯৩ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে।

একজন ব্যবসায় বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজের দাম না কমার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে যারা পেঁয়াজ আমদানি করছে তারাও ওইটার সাথে তুলনা করেই দাম রাখছে। সেজন্যই দাম কমছে না। ‘তবে শুল্ক কমানোর পর ধারণা করা হচ্ছিলো ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি নেমে আসবে ৭০ টাকার নিচে।

আরো পড়ুন: জামালপুরে স্ট্রবেরি চাষে কৃষকের উজ্জল সম্ভাবনা

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ মানে যতদিন দেশি পেঁয়াজ না উঠবে ততদিন পেঁয়াজের বাজারে দাম কমবে না। হয়তো দুইএকদিন দাই-চারটাকা কমবে। আবার আমদানি বন্ধ হলে দাম বেড়ে যাবে।’

আগামী মাস থেকে দেশের বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে। পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়িতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে আগামী মাসে দাম আরো কমার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

এখন টিভি

আআ/এগ্রিকেয়ার