এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: অতিমাত্রায় দূষিত হতে হতে বাতাস বিষাক্ত হয়ে ওঠার কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক ব্যাধি ও আচরণগত নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে, যার ফলে এসব ব্যাধি ও আচরণজনিত মৃত্যুর শঙ্কাও বাড়ে। হংকংভিত্তিক এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
 
গবেষণার জন্য অন্যান্য পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি প্রায় এক দশকের মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা দেখিয়েছেন, ওজোনস্তরে দূষণের কারণে মানসিক ব্যাধি ও আচরণজনিত মৃত্যুর শঙ্কা বাড়ে প্রায় ৭৯ শতাংশ।
 
বায়ুদূষণের সঙ্গে আত্মহত্যার ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে আগে করা কিছু গবেষণার তথ্যও এতে সন্নিবেশ করা হয়। ঠিক কীভাবে বায়ুদূষণ মানসিক ব্যাধি ও আচরণজনিত মৃত্যুর শঙ্কা বাড়ায়, সে বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ মুহূর্তে এ শঙ্কার মুখে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষায় সহযোগিতার হাত বাড়ানোটাকেই প্রধান কর্তব্য বলে মনে করছেন তারা। ‘এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল’ শীর্ষক জার্নালে সম্প্রতি এ গবেষণায় উঠে আসা তথ্য নিবন্ধ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
 
গবেষণার জন্য ২ লাখ ৮৪ হাজারেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা পরীক্ষা করে দেখেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে বিষণ্নতা, দ্বৈত সত্তা (বাইপোলার), সিজোফ্রেনিয়া ও স্মৃতিভ্রংশে ভোগা রোগীদের মৃত্যুর তথ্যগুলো বেশ মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
 
ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, বায়ুতে ভেসে বেড়ানো দূষিত পদার্থগুলো ক্ষুদ্র কণা আকারে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং মানসিক বিকাশকে ব্যাহত করে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে দূষণজনিত কারণে প্রচুর পরিমাণে ন্যানোপার্টিকল প্রবেশ করছে। ২০১৫ সালের পর থেকে প্রকাশিত বেশকিছু গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আত্মহত্যার সঙ্গে দূষণের সম্পর্কে রয়েছে।
 
টোকিও ভিত্তিক আরেক গবেষণায় বলা হয়, জাপানে আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে বাতাসে নাইট্রাস অক্সাইড দূষণের সংযোগ রয়েছে। চীনে গুয়াংজুতে পরিচালিত এ ধরনের আরেকটি গবেষণায় এর সঙ্গে সালফার ডাই-অক্সাইড দূষণেরও সংযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়। সূত্র: বণিক বার্তা