নওগাঁ, বাসস: জেলা রানীনগরে এক কৃষক জিরা চাষ করে বাংলাদেশে জিরা চাষের অপার সম্ভাবনার প্রমাণ দিয়েছেন। উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদল জিরা চাষ করে এ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর এ জিরা চাষের সাফল্য অন্যান্য কৃষকদের এ ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে তুলেছে।
জহুরুল ইসলাম বাদল একজন আদর্শ কৃষক। প্রথা ভেঙ্গে নতুন নতুন ফসল উৎপাদন করে চমক দেয়া তাঁর এক ধরনের আনন্দ। তারই ধারাবহিকতায় জংলা বেগুন বা কাঁটা বেগুনের গাছের সাথে গ্রাফািটং করে টমেটো চাষে সাফল্যের পর এবার তিনি তাঁর ৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ করেছেন।
ভারত থেকে অনলাইনে জিরার বীজ সংগ্রহ করে দেশীয় প্রক্রিয়ায় তার জমিতে চাষ করেছেন। তিনি তাঁর এ ৫ শতাংশ জমিতে আধা কেজি বীজ বপন করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। সরিষা আবাদের মতই অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে জমিতে বীজ বপন করেছেন। মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে গত মাঘ মাসেই তিনি জিরা তুলেছেন।
জিরা বেশ ভালো হয়েছে। গাছে গাছে ব্যাপক ফুল আসে এবং ফুলে ফুলে জিরা। তাঁর এ ৫ শাতংশ জমি থেকে কম পক্ষে ২০ কেজি জিরা উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকা। মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করে লাভ করেছেন ১৮ হাজার টাকা। জিরা চাষ বেশ লাভজনক বললেন কৃষক বদল।
জিরা চাষের সম্ভাবনা এবং লাভের আশা আছে ভেবে এলাকার অনেকেই এখন জিরা চাষে আশাবাদি এবং বীজ ও সহযোগিতা চেয়ে প্রতিদিন তাঁর নিকট আসছেন পরামর্শ নিতে বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী কৃষক।
যেসব বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে সেসব সংগঠন এ ক্ষেত্রে নানা ভাবে সহযোািগতা দেয়ার জন্য তাঁর জমিতে আসছেন।
বাদলের জিরা চাষে সার্বিক পরামর্শ প্রদানসহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তাঁর এ জিরা চাষে সফলতা পেলে কৃষি বিভাগ সর্বস্তরের কৃষকদের জিরা চাষে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বললেন রানীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা হক।