এগ্রিকেয়ার২৪.কম পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবার্তা ডেস্ক: একাধিক পুষ্টিগুণে ভরা টার্কির মাংস একদিকে যেমন সুস্বাদু অন্যাদিকে রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা।

পাঠক আসুন জেনে নেয়া যাক কেন টার্কি মাংস আমাদের খাওয়া উচিত ও এর গুণগুলো। অস্ট্রেলিয় টার্কি ফেডারেশন প্রকাশিত তথ্যগুলো বাংলায় অনুবাদ করে তুলে ধরছেন বাংলাদেশ এনিম্যাল এগ্রিকালচার (BAAS) এর সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোরশেদ আলম।

১. টার্কির মাংস তুলনামূলকভাবে শক্ত এবং স্বাদ দেশী মুরগীর মাংসের মত।

২. প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষ টার্কির ওজন ৭-৮ কেজি এবং স্ত্রী-টার্কির ওজন ৫-৬ কেজি হয়।

৩. চামড়াছাড়া আস্ত টার্কি মাংসে আছে প্রচুর আমিষ এবং কম চর্বি। আছে মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যেমন নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, এমাইনো এসিড যেমন ট্রিপ্টোফেন আছে। এছাড়াও আছে জিংক ও ভিটামিন বি১২।

৪. টার্কির ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। এতে আছে উন্নতমানের অত্যাবশকীয় খনিজ সেলেনিয়াম যা থাইরয়েড হরমোন পরিপাক, এন্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং রোগ প্রতিরোধ কার্য্যক্রমে আবশ্যকীয় অংশ হিসেবে কাজ করে। সেলেনিয়াম, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

৩. চামড়াবিহীন টার্কি মাংসে ক্ষতিকারক চর্বি এবং মোট চর্বির পরিমান খুব কম। এতে কোলেস্টেরল প্রায় নেই।

৪. এতে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান, যা মানবদেহে সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে যা দেহ-মনকে চাংগা করে। এছাড়া ট্রিপ্টোফেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৫. টার্কির মাংসে আছে ভিটামিন বি৬ এবং নিয়াসিন, যা মানবদেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। নিয়াদিন, খাদ্যের আমিষ, শর্করা এবং চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তরে সহায়তা করে।

৬. মাংসে আছে প্রচুর ভিটামিন বি ৬। উপস্থিত ভিটামিন বি৬ মানবদেহে বিভিন্ন কোষ গঠনে কার্য্যকর ভুমিকা পালন করে।

৬. টার্কি মাংসে উপস্থিত ট্রিপ্টোফেন ‘ক্রনিক ইনসোমনিয়া’ বা ‘নির্ঘুম রোগ’ উপশমে কার্য্যকরী ভূমিকা পালন করে। ইহা ঘুমকে উৎসাহিত করে, ফলে নির্ঘুম রোগে প্রশমনে সহায়তা করে।