সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কেজিপ্রতি আলুর দর ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জের হিমাগার থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে বের করা হচ্ছে আলু। এছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাজারের দরেও রয়েছে বড় ফারাক। বাজার মনিটরিং জোরদার না হওয়ার ক্ষোভ ভোক্তাদের। আর কৃষি বিভাগ জানায়, ফোনের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন মজুতদাররা।
মুন্সিগঞ্জে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে আলু। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর গত বছর একই সময় খুচরা বাজারে আলুর দাম ছিল ৪০ টাকা। হিমাগার গেটে ৪৭ টাকা ও পাইকারি পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়।
আলুর দাম বাড়ানোর জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারদের। আর পাইকাররা দুষছেন হিমাগার সিন্ডিকেটকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাত বদলালেই বাড়ছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট।
বাজার মনিটরিং জোরদার না হওয়ার ক্ষোভ ভোক্তাদের। তারা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারের পাশাপাশি হিমাগারগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
কৃষি বিভাগ জানায়, বেশিরভাগ কৃষক পুঁজির অভাবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন না। ফোনের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন মজুতদাররা।
আরো পড়ুন: গোপালগঞ্জের মাছের ঘেরের মাচায় তরমুজ চাষে কৃষকের আয় বৃদ্ধি
মুন্সিগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, বীজ আলু সংরক্ষণের জন্য আলাদা হিমাগার তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সামির হোসেন সিয়াম বলেন, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে খুচরা বাজার থেকে শুরু করে হিমাগার পর্যন্ত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ যাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর দাম না বাড়াতে পারে সেদিকেও কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, মুন্সিগঞ্জে গত মৌসুমে ১০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর মধ্য নভেম্বর থেকে শুর হবে আলু নতুন রোপণ মৌসুম। জেলার ৫৪ হিমাগারে এখনো মজুত আছে ১ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন আলু, এর মধ্যে ৭১ হাজার মেট্রিক টন খাবার আলু, সেই আলু নিয়েই চলছে ব্যস্ততা।
সময় টিভি
আআ/এগ্রিকেয়ার