বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষির উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাই দেশকে সমৃদ্ধিশালী করতে হলে কৃষি তথা কৃষকের উন্নয়ন করতে হবে। আর এজন্য কৃষকের পাশে থেকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই স্মার্ট কৃষি বির্নিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো: তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী এসব কথা বলেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসরণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে আঞ্চলিক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ১ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের গৃহিত কার্যক্রমকে আরো তরান্বিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্পের আওতায় উচ্চমুল্যের ফসলের মধ্যে গ্রীষ্মকালিন টমেটো, কালো তরমুজ, ক্যাপসিক্যাম, গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ, রসুন ও আলু এসব জাতীয় ফসল চাষের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সকলকে সমন্বয় এবং মনিটরিং এর মাধ্যমে শতভাগ সফলতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমন ধান সংগ্রহ শেষে বোরো ধানের চাষ বৃদ্ধি ও তেল ফসল সরিষা এবং মসল্লা ফসল পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। যেন আগামীতে দেশের চাহিদা পুরুনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন, মাটিতে শুধু ফসল চাষ করলে হবে না, মাটির স্বাস্থ্য টিক রাখতে হবে।

তিনি জানান, মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সফলতা কমনা করেন এবং উপস্থিত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সংগে কাজ করার অনুরোধ করেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ ড. শেখ মো: রুহুল আমীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরদার শফি উদ্দিন আহমদ, রাজশাহী জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: মোজদার হোসেন ও পাবনার ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো: মাহমুদুর ফারুক।সভাপত্বিত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ।

কর্মশালার শুরুতেই কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস এম হাসানুজ্জামান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসরণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, এর মধ্যে পলিনেট হাউজ, মিনি কোল্ড স্টোরেজ, ধানের ব্লক প্রর্দশনী, নিরাপদ পান চাষ, তাল গাছ রোপন, সরিষা চাষ, কৃষি যান্তিকীকরণ, প্রযুক্তি সম্প্রসরণ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া উচ্চমুল্যেও ফসল ব্লাকবেরী তরমুজ, ক্যাপসিক্যাম, গ্রীষ্মকালিন টমেটো, শশা, গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ এসকল ফসলের চাষ বাড়াতে হবে এবং প্রর্দশীত প্রযুক্তির মধ্যে কুইক কম্পোষ্ট, র্ভামি কম্পোষ্ট, কেঁচো কম্পোষ্ট তৈরী ও বিপননে সহযোগীতা করতে হবে। রাজশাহী বিভাগের ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের উৎপাদন শতকরা ১০-১৫ ভাগ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

আঞ্চলিক কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসরণ কর্মকর্তা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ২০০ জন কর্মকর্তাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।