অধিক সার ব্যবহারের অপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: অধিক সার ব্যবহারের অপকারিতা কৃষকের কাছে তুলে ধরতে হবে; কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, অধিক নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার ব্যবহারে জমির ফসলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায় পক্ষান্তরে জমির ঊর্বরতা কমে যায়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর গুলশানে লেক ক্যাসেল হোটেলে International Nitrogen Management System South Asia Regional Demonstration Workshop এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ আহ্বান জানিয়েছেন।



কৃষিমন্ত্রী বলেন, নাইট্রোজেন ব্যবহার ফসলের উৎপাদন ৩০ থেকে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। অনেক কৃষক সারের সঠিক ব্যবহার না জেনে জমিতে বেশি বেশি সার ব্যবহার করে।

যার ফলে সারের নাইট্রোজেন বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষণ করে, আবার পানিতে মিশে মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। তাই এর ব্যবহার পরিমিত করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে।

অধিক সার ব্যবহারের অপকারিতা কৃষকের কাছে তুলে ধরতে হবে; কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। সরকারের সবার জন্য লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চত করা, এর জন্য কৃষকদের সচেতন করতে হবে।

অধিক সার ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও মানুষের জন্য বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তা কৃষকদের জানাতে হবে। কৃষিকর্মে জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাধ্যমে নাইট্রোজেন সরবরাহ করা হয়।

অভিজ্ঞ এ কৃষিবিদ জানান, অতীতে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন মূলত জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমেই মেটানো সম্ভব হতো কিন্তু আজ তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল, ফলে রসায়নিক পদ্ধতিতে ডাই-নাইট্রোজেন অণু ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে রসায়নিক সার।

INMS South Asia Regional

গাছপালা কার্যত সারের মাত্র অর্ধেক নাইট্রোজেন ব্যবহার করে থাকে আর বাকি অর্ধেক নানা ধরনের বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন অণুতে রূপান্তরিত হয়ে মাটি, পানি ও বাতাসে মিশে যায়।

এভাবে বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন দিন দিন বাড়তে থাকে আর শুরু হয় পরিবেশ দূষণের নতুন মাত্রার নাইট্রোজেন দূষণ।

আনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মিজানুর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মার্ক এ সুত্তন, পরিচালক আইএনএমএস, প্রফেসর ড. নান্দুলাল রাঘুরাম ও প্রফেসর ড. তপন কে অধ্যায়, পরিচালক এসএএনসি, নিউদিল্লি, ভারত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো: গিয়াস উদ্দিন মিয়া, ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মো: শাজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট।

দুইদিনব্যাপী Towards Integrated Nitrogen Management System (INMS) এর উদ্যোগে কর্মশালাটি পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: INMS South Asia Regional Demonstration Workshop begins in Dhaka