ড. মো. তাসদিকুর রহমান সনেট, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: “বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি-তুলা উন্নয়ন বোর্ড সৃষ্টি” তুলা একটি আন্তর্জাতিকমানের শিল্প ফসল, যা বিশ^ব্যাপী “সাদা সোনা” হিসেবে পরিচিত। তুলার সাথে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান। আমাদের দ্বিতীয় মৌলিক চাহিদা বস্ত্র তৈরির প্রধান কাঁচামাল তুলা। তুলার ইতিহাস পৃথিবীতে ৭ হাজার বছরের পুরাতন, আর্যদের যুগ থেকে বৃটিশদের শাসনামলের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রায় ঘরে ঘরে কার্পাসের চাষ হতো।

ঘরে ঘরে চরকার সূতা তৈরী করা ও তা দিয়ে তাঁতের কাপড় বুনে দেশের চাহিদা মেটাতো। তৎকালে বিশ^বিখ্যাত মসলিন কাপড় ও অন্যান্য সুতি বস্ত্র সমগ্র ইউরোপে রপ্তানি হতো। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের কাপড় বাংলাদেশী কাপড়ের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় বৃটিশ শাসনামলে বাংলাদেশে তুলার চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ ঔপনিবেশিক নীতির ফলে শুধু যে কার্পাস আর তাঁত শিল্পই ধ্বংস হয় তা নয় এদেশের কৃষকদের বাধ্য করা হয় ইংল্যান্ডের কলকারখানার জন্য কাঁচামাল প্রস্তুত করতে। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পকে ধ্বংস করে তাঁতীদের বাড়ি বাড়ি সিপাহী বসিয়ে তাঁত চালানো বন্ধ রাখতো। এ নিয়ে দুইবার তাঁতী বিদ্রোহ হয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের তুলা চাষ স্থানান্তর হয় ইংরেজদের নির্ভরযোগ্য ঔপনিবেশ আমেরিকায় আর আমেরিকার নীল চাষ আনা হয় বাংলা, বিহার, উড়িষ্যায় (খনার বচন, কৃষি ও বাঙালি সংস্কৃত -ড. আলি নওয়াজ)।

১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের অবসানের পর ভারত-পাকিস্তাান নামক দুটি দেশের সৃষ্টি। আর পাকিস্তান ভাগ হয় পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান নামে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এদেশে কোন তুলা উৎপাদন হতো না, সমস্ত তুলা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমদানী করা হতো। ১৯৭১ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে তুলা চাষের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন।

পশ্চিম পাকিস্তানে বাংলাদেশের পাট চাষ জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে ৩৫০ জন পাট চাষীকে নেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা লাভের পর ৩২৫ জন চাষীকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফেরৎ আনেন এবং ঠাকুরগাঁও এর রাণীশৈংকেল-এ ৭৯৬ একর জমি তুলা চাষের জন্য তাদের মধ্যে বরাদ্ধ প্রদান করেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তুলা চাষের শুভ সূচনা ঘটে।

শুরু হয় বাংলাদেশে তুলা চাষের গবেষণা যার পূরোধা ছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আওরঙ্গজেব স্যার। ১৯৭২ সালে আমেরিকা থেকে ডেল্টাপাইন-১৬ নামক তুলার জাত দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে তুলার চাষ শুরু হয় এবং এর পরিধি দিন দিন বাড়তে থাকে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত তুলার ২৩টি উচ্চ ফলনশীল, ১টি হাইব্রিড ও ১টি মিউটেন্ট জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। তুলা চাষ সম্পৃক্ত উদ্ভাবিত ৫৩টি প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে হস্তান্তরিত হয়েছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবছর তুলা উন্নয়ন বোর্ড সৃষ্টির অর্ধশত বছর সফলতার সাথে পূর্ণ করে ৫১তম বছরে পাদার্পণ করছে।

বিশ্বে প্রায় ৭৫টি দেশে তুলার চাষ করা হয়। প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহের মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান এবং ব্রাজিল অন্যতম। উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। বিশ্বে চার ধরনের তুলার আবাদ হয়- Gossypium, Hirsutum, Gossypium berdadense, Gossypium arboreum এবং Gossypium herabacceum আমাদের দেশে Gossypium hirsutum এবং Gossypium arboreum এর চাষ করা হয়।

প্রতিটন বীজতুলা বছরব্যাপী গড়ে ৫ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরীতে সহায়তা করে। বিশে^ ২.১% চাষযোগ্য জমিতে তুলার আবাদ হয়, সেই তুলা টেক্সটাইল সেক্টরে ২৭% অবদান রাখে। বাংলাদেশের তিনটি শস্য মৌসুমের খরিপ-২তে মাত্র ০.৫২% জমিতে তুলার চাষ করা হয়। তুলা থেকে আঁশ ছাড়াও ভোজ্য তৈল, খৈল (যা প্রাণী ও মৎস্য খাদ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী), জ¦ালানী উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। ভোজ্য তেলে খুব কম পরিমানে কোলেস্টরেল থাকে এবং তুলার বীজ থেকে ১৫% থেকে ২০% হারে তেল পাওয়া যায়, যা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং সয়াবিন তেলের চেয়ে পুষ্টিকর।

তুলার বীজ থেকে উৎপাদিত ভোজ্য তেলে রয়েছে উচ্চ ছিল ২৪%, উচ্চ ফ্যাট ২০% এবং ফুড আঁশ ৪০% । বর্তমানে তুলা একটি লাভজনক অর্থকারী ফসল। বিঘা প্রতি উৎপাদন ১৫-১৮ মণ এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ১৬ -১৮ হাজার টাকা। গত মৌসুমে তুলার বাজার ি ৩৪০০ টাকা/মণ বিঘা প্রতি নীট লাভ ৪৫,০০০ টাকা। ২০২০-২১ মৌসুমে ১,৯৫,০০০ বেল তুলা উৎপাদিত হয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬,২৫,০০০০০ টাকা। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থ বছওে বেতন-ভাতাসহ রাজস্ব ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি টাকা কিন্তু এর বিপরীতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরকারের প্রায় ৬,২৫,০০০০০ টাকা সাশ্রয় করেছে। তাছাড়া তুলা সাধারণত পতিত, চরাঞ্চল, পাহাড়ী ও বরেন্দ ্রঅঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। তুলার পাতা জমির উর্বরত াশক্তি বৃদ্ধি করে এবং জৈব পদার্থ যোগ করে মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

বাংলাদেশে চাষযোগ্য জমি শিল্পায়নের ফলে প্রতিবছর ১% হারে কমছে। তাছাড়া বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে তুলার সম্প্রসারণে এলাকা না বাড়িয়ে উৎপাদনের দিকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তুলার সাথে আন্ত:ফসল হিসেবে লালশাক, মুলাশাক, হলুদ, মরিচ প্রভৃতি চাষ করা হচ্ছে। বিগত ছয় বছরে (২০১৫-২০২২) তুলার উৎপাদন বেড়েছে ১,৪০,০০০ বেল থেকে ১,৮০,০০০ বেলে।

১৯৯৯ সালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে আমি সহ ২৬জন তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করি। ১৯৯৮ সালে সিনিয়র পদে দুইজন কর্মকর্তা পিএসসি’র মাধ্যমে এবং ১৯৯৬ সালে প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু সংখক কর্মকর্তা যোগদান করেন। ২০১৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন শীর্ষ পদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডেপুটেশনে কর্মরত ছিলেন। আমরা যখন মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ কাজে নিয়োজিত ছিলাম তখন মাঠ পর্যায়ে সিবি-৩ জাতের তুলা চাষ হতো এবং পরবর্তীতে সিবি-৫, সিবি-৯ মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ করা হয়।

তখন গড় ফলন ছিল ৪-৫ মন এবং মনপ্রতি বাজার মূল্য ছিল ৭৬০ টাকা। ফলন ও দামে চাষীরা ধীরে ধীরে তুলা চাষ ছেড়ে লাভজনক সবজিসহ অন্যান্য ফসলের দিকে ধাবিত ছিল। তখন জনবল ছিল কম, এমনকি তুলার সম্প্রসারণ ও গবেষণায় সরকারের গৃহীত কোন প্রকল্প ছিল না। এছাড়াও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ছিল না কোন নিজস্ব ভবন। বেসরকারী বীজ কোম্পানী সুপ্রিম সীড প্রথমে ২০০৯ সালের দিকে চায়না থেকে হাইব্রিড সীড বাংলাদেশে বাজারজাত শুরু করে।

এর ফলন ছিল আমাদের দেশীয় জাতের চেয়ে বেশী, ফলে চাষীরা আবার তুলা চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠে। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে তুলা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৪টি কর্মসূচি ও দুটি বড় প্রকল্প অনুমোদন করেন। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে চাষীদের মধ্যে তুলা চাষের জন্য বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে তুলা একটি

বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডে চলমান প্রকল্পসমূহের মধ্যে-

১. সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প (ফেজ-১)

২. তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প

৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প এবং

৪. এনহান্সিং ক্যাপাসিটি ইন কটন ভ্যারাইটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প অন্যতম।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সংস্থার নিজস্ব ভবন ছিল না। ২০১৪ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প (ফেজ-১)-এর মাধ্যমে তুলা ভবনের জন্য নিজস্ব জায়গা ও অর্থ বরাদ্দ করেন। এই ভবনের স্বপ্ন যেমন ছিল আমার, তেমনি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সবার। সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প তৈরির সে সময়ের কৃষি সচিব ড. নাজমুল হোসেন বলেছিলেন, ‘আপনারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন, আপনাদের যা প্রয়োজন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, প্রয়াত কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রয়াত জামসেদ আহম্মদ খন্দকার এবং ডেপুটি চিফ সিদ্দিক স্যারের সহযোগিতা কখনো ভোলার নয়। তা ছাড়া পরবর্তীকালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ভবন উদ্বোধন ও কাজের যাত্রা শুরুর পেছনে বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির অবদান অন্যতম।

বিগত ৫০ বছরে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ-

* হাইব্রিড জাত এবং আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকের মাঠে তুলার গড় ফলন হেক্টরে ১.৫-২.০ মে. টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫-৪.৫ মে. টন

* তুলার ২১টি উচ্চফলনশীল জাত, ১টি হাইব্রিড ও ১টি মিউটেন্ট জাত

* তুলা চাষ সম্পৃক্ত উদ্ভাবিত হয়েছে ৫৩টি প্রযুক্তি

* খরাপ্রবণ, চর, লবণাক্ত ও পাহাড়ি এলাকায় আপল্যান্ড তুলা চাষ সম্প্রসারণ

* স্বল্প খরচে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড ও উচ্চফলন জাতের বীজ বিতরণ

* দেশীয় শিমুল চারা বিনামূল্যে বিতরণ

* জিনি, শিল্প ও বাজারজাতকরণে বেসরকারি উদ্যোক্তা

* মিসরের কটন রিসার্স, তুরস্কের নাজিলি কটন রিসার্স ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর

* বিটি তুলার প্রবর্তনে বহুমাত্রিক গবেষণা চলমান

* দেশের ঐতিহ্যবাহী ‘ঢাকাই মসলিন’ পুনরুদ্ধার

* তুলার গুণগত মান নির্ণয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন HVI মেশিন স্থাপন

* বেসরকারি উদ্যোগে ১টি তুলার তেল রিফাইনারি কারখানা স্থাপন

* জিন ব্যাংকে তুলার ৫৪৮টি জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ

*Cotton connect-এর মাধ্যমে Sustainable Cotton Production

হ তুলা উৎপাদনকারী জিনার, টেক্সটাইল মিল মালিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন করা

 International Cotton Advisor committee-এর সদস্যপদ লাভ ও গুণগত মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের তুলা উৎপাদন ইত্যাদি।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ভিশন ‘তুলা ও তুলা ফসলের উপজাতের উৎপাদন বৃদ্ধি।’ এ ভিশন বাস্তবায়নে তুলা উন্নয়ন বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৫টি গবেষণা খামার, ৪টি অঞ্চল, ১৩টি জোনাল কার্যালয়, ১৮৪টি ইউনিট অফিস, ১১টি জিনিং কেন্দ্রের মাধ্যমে সম্প্রসারণ ও গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব ভবনের কাজ এ বছর সম্পন্ন হলে বহু বছর পর তুলা উন্নয়ন বোর্ড তার পূর্ণতা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্যশস্যকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে স্থানীয় মোট চাহিদার ১৫-২০% মেটানো সম্ভব হবে, যার মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে ও বাড়বে কর্মসংস্থান এবং মজবুত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত।

ড. মো. তাসদিকুর রহমান সনেট : কৃষিবিদ, সাধারণ সম্পাদক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন