আজ থেকে কৃষি শুমারি

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আজ থেকে কৃষি শুমারি শুরু হয়েছে। পঞ্চমবারের মতো সারাদেশব্যাপী কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুরু হওয়া এ শুমারি-২০১৮ আজ রোববার (৯ জুন) থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম ফর দ্য সেনসাস অব অ্যাগ্রিকালচার ২০২০ গাইডলাইন মোতাবেক এই কৃষি শুমারি পরিচালিত হবে।

কৃষি শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা, মৎস্য উৎপাদন ও চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

এ তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটা দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম।

পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ধানের সঠিক মূল্য নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন কৃষিমন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সারাদেশে শহর ও পল্লি এলাকায় ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কৃষি শুমারি-২০১৯ পরিচালিত হবে।

কৃষি শুমারির দ্বিতীয় জোনাল অপারেশনে সারা দেশের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬টি এলাকায় গণনা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এতে অংশ নেবেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৫ জন গণনাকারী। অর্থাৎ প্রতিটি এলাকার জন্য একজনেরও কম গণনাকারী গণনাকাজ সম্পন্ন করবেন। এ ছাড়া ২২ হাজার ৩৭৩ জন সুপারভাইজার, ২১৯ জন সহকারী জেলা সমন্বয়কারী, ৭৮ জন জেলা সমন্বয়কারী এবং ১০ জন বিভাগীয় সমন্বয়কারী কাজ করবেন এই প্রকল্পের আওতায়।

প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ, অকৃষি খাতে জমির ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বর্তমানে কৃষি জমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

কৃষি খাতে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কৃষি শুমারি-২০১৯ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।