ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আলু বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কন্দ জাতীয় ফসল। বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে আলুর ফলনে নিয়ে হতাশ হন চাষিরা। এর মধ্যে আলুর সুতলী ও জাব পোকা অন্যতম। তাই আলুর সুতলী ও জাব পোকা দমনসহ বিভিন্ন পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

আলুর জাব পোকা : 
রোগের কারণ: আলুর জাবপোকার প্রজাতির মধ্যে মাইজাস পারসিকি নামক প্রজাতি ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে বীজের মান নষ্ট করে।
ক্ষতির ধরণ: এ প্রজাতি আলুর পাতা মোড়ানো ভাইরাস এ ও ভাইরাস ওয়াই রোগ বিস্তারের সাহায্য করে আলু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে।

আরও পড়ুন: এ সময়ে আলুর যত্ন ও রোগবালাই দমন কৌশলসমূহ

অনুকূল পরিবেশ: ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতে এ পোকার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
দমন ব্যবস্থাপনা: আলু বীজ উৎপাদনের জন্য আলু ক্ষেতের জাব পোকা দমন করতে হবে। পোকা দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে তিন থেকে চার মিলি নিমবিসিডিন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। বালাইনাশক হিসেবে প্রতি লিটার পানিতে দুই মিলি হারে ম্যালাথিয়ন বা এসাটাফ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

আলুর সুতলী পোকা : 
পরিচিতি: আলুর সুতলী পোকার মথ আকারে ছোট, ঝালরযুক্ত, সরু ডানা বিশিষ্ট বাদামি হয়। পূর্ণাঙ্গ কীড়া সাদাটে বা হাল্কা গোলাপী বর্ণের এবং ১৫-২০ মি.মি লম্বা হয়ে থাকে।
ক্ষতির ধরণ: কীড়া আলুর মধ্যে লম্বা সুড়ঙ্গ করে আলুর ক্ষতি করে থাকে।

আরও পড়ুন: আলুর লেইট ব্লাইট অথবা মড়ক রোগ ও তার প্রতিকার

অনুকূল পরিবেশ: বাংলাদেশে বসত বাড়িতে সংরক্ষিত আলু এ পোকার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা: বাড়িতে সংরক্ষিত আলু শুকনা বালি, ছাই, তুষ, অথবা কাঠের গুড়ার একটি পাতলা স্তর (আলুর উপরে ০.৫ সেমি) দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আলু সংরক্ষণ করার আগে সুতলী পোকা আক্রান্ত আলু বেছে ফেলে দিতে হবে।

আলুর সুতলী ও জাব পোকা দমনে কৌশল শিরোনামে লেখাটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি