আলু রপ্তানীতে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আলু রপ্তানীতে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পর্যবেক্ষণ পূরণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রপ্তানির জন্য যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে তা পূরণ করে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আরও নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে।

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর, ২০১৯) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রপ্তানির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্যান্য যেসব দেশে আলু রপ্তানি হচ্ছে সে সব দেশে কী জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে তা জানতে হবে এবং আমাদের দেশে সেই জাতের আলু আবাদ হবে।

সভায় বর্তমান মৌসুমে আলু রপ্তানীর ব্যাপারে কী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, আলু রাপ্তানির ক্ষেত্রে কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে কিনা এসব জানতে চান কৃষিমন্ত্রী।

আলু রপ্তানীর উদ্দেশ্য আমদানিকারকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। এসময়ে আলু প্রসেসিং করে রপ্তানির উদ্যোগ নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ প্রর্যন্ত ৯১ টি আলুর জাত অবমুক্ত করেছে। আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফ্র্যন্স ফ্রাই ও চিপসের জন্য উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলু প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন করে রপ্তানির মাধ্যমে এই শিল্পকে লাভবান করতে হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রপ্তানী উপযোগি আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারর্মিং এ যেতে হবে। সরকার রপ্তানি উপযোগী আলুর বীজ অবমুক্তের তিন বছরের সময় সীমা তুলে নিয়েছে। এখন যে কেউ রপ্তানি উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে পাবরে, তবে রোগ বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কোন মুল্যে আলু রপ্তানির ব্যাপারে সকলে মিলে সম্মিলিত ভাবে কাজ করে এই শিল্পটিকে লাভজনক করতে হবে।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন যে, আমাদের আলুতে কোন নেমাটোড নেই। এছাড়া ব্রাউন রড এর কারনে রাশিয়া আলু নেয়া বন্ধ করেছে, পুনরায় আলু রপ্তানির জন্য রাশিয়ার সাথে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। মান সম্মত আলু ও আন্তর্জাতিক মানের চিপস তৈরীর তাগিদ দেন বক্তারা।

তারা বলেন, পাকিস্তানের আলুর মুল্য কম হওয়ায় তারা বাজার দখল করে রেখেছে, সেক্ষেত্রে কী উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। এর মধ্যে পরিবহন খরচ কমানোর ওপর জোর দেন বক্তারা। শ্রীলংকা, পাকিস্তান তুরস্কসহ অনেক দেশে আলু রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

আলুর সংরক্ষণের অভাবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ এবং লাগসই সংরক্ষণ প্রযুক্তির সহজলভ্যতার অভাব।

বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিকারক দেশ যে সব শর্ত দিয়েছে তা মেনে  ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (পিসি) নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।

কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান সভাপতিত্বে সভায় আলু উৎপাদনকারী, রপ্তারীকারক ও আলুবীজ উৎপাদনকারীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সংস্থার প্রধানগণ ও কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলু রপ্তানীতে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পর্যবেক্ষণ পূরণ ও নতুন বাজার তৈরির আহ্বান সংবাদটির তথ্য কৃষিমন্ত্রণালয়ের  জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন।