ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: অবৈধ মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সরকার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, এনএসআই ও জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্সের অভিযানে এক আড়তদারকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২৭৭ মে. টন ধানের গোপন মজুদের অভিযোগ রয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ ফ্রেবুয়ারি ২০২২) বিকাল ৪টা দিকে আনসার আলী নামে এক লাইসেন্সহীন আড়ৎদারের কাছে ২৭৭ মে.টন ধানের গোপন মজুত পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রশসনের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং উক্ত ধান আগামি ১ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি/বাজারজাত করার আদেশ দেওয়া হয়।

পড়তে পারেন: চালের দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেট

একইভাবে একই উপজেলার আব্দুল হান্নান নামের আরেক লাইসেন্সবিহীন আড়ৎদারের নিকট গোপন গুদামে ১৭.৫০০ মে.টন ধানের মজুদ পাওয়ায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধান সমূহ আগামি ১ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেয়া হয়।

এরআগে এক সভায় নওগাঁ জেলার অটো চাল কল মালিক সমিতির বেলাল আহমেদ বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান চাল প্যাকেটজাত করছেন, বাজারে সে গুলো বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও এখন ধান মজুদ করছে উচ্চ দামে বিক্রির আশায়। তিনি বলেন, আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো হলে মজুদ করা ধান বাজারে আসতে শুরু করবে চালের দামও নেমে আসবে।

পড়তে পারেন: ধান-চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

চাপাইনবাবগঞ্জের এরফান গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী মো: এরফান আলী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া অনেকেই ধানের মজুদ করেছেন। বাজারে ধানের সংকটের কারনে মিল মালিকগণ ধান কিনতে পারছেন না। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অনেক চাল কল মালিক খাদ্য গুদামে সময়মতো চাল দিতে পারছেন না। এসময় তিনি অবৈধ মজুদদারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, ৩০ জুনের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ শতাংশ ছিলো। করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টিতে সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫৭ শতাংশ এবং আতপ চাল ৪৬ শতাংশ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ