অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আসন্ন ঈদে ভারত থেকে ১ হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। স্থলবন্দরের সড়কপথ দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রেলপথ দিয়ে আসে এসব পেঁয়াজ।

হিলির রাইহান ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। গতকাল ( ১১ মে ২০২১) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর দিয়ে ৪২টি ওয়াগন নিয়ে পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে এসে পৌঁছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নাসিক জাতের।

হিলি বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে আইপি না দেয়ায় স্থলবন্দরের সড়কপথ দিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং পণ্যটির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, সড়কপথে পেঁয়াজ আমদানির আইপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও রেলপথে শেষ হয়নি। ফলে রেলপথ দিয়ে আমদানি সম্ভব হয়েছে। গতকাল ৪২টি ওয়াগনে মোট ১ হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। আমদানীকৃত এসব পেঁয়াজের পড়তা রয়েছে ৩১-৩২ টাকা।

বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের খানিকটা কম দামে আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। এতে লোকসান গুনতে হতে পারে বলে বলছেন আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন।

হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার বলেন, গতকাল সকালে ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে আসে। এতে ভাড়া বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। পেঁয়াজ খালাস কার্যক্রম চলছে। খালাস শেষে ট্রেনটি পুনরায় ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, পেঁয়াজের যেসব আইপি ইস্যু করা ছিল তার মেয়াদ গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে।

ঈদে ভারত থেকে ১ হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ আমদানি শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ