জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪কম: রাজশাহীর বাজারে এক কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি।

ঈদের পরও বিক্রি কমেনি ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগির বিক্রি। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের মুরগি মোটামুটি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা মিলন হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মুরগির দাম ভালো আছে। ঈদের মধ্যে বিক্রি হয়েছে একটু বেশি। বাজারে দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

আরেক ব্যবসায়ী মিঠু এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, সব ধরনের মুরগির দামই ভালো। ব্রয়লার ১৪০ টাকা কেজি, সোনালী ২৪০ টাকা, লেয়ার লাল ২১০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা কমে গেছে।

বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডিমের দাম রমজানে যতটা কমতে পারে ভেবেছিলাম ততটা কমেনি। প্রতিহালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সাদা ডিম ২৭-২৮ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪২ টাকা হালি দরে বিক্রি করছি।

আজ সোমবার (১৭ মে ২০২১) নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রাজশাহীতে ৬০ ভাগ খামার ফাঁকা হয়ে গেছে। বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মুরগি মারা গেছে। ভয়ে আর নতুন বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। আগের মতো আবার মুরগির দাম বাড়বে। এখন যা একটু কমেছে তাও থাকবে না।

ডিমের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিমের দামও বাড়বে। অনেক লেয়ার খামারি মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। খাদ্যের দাম বেড়েছে তিন মাসে ১৫০ থেকে ১৭৫ টাকা। এই দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। বৈশ্বিকভাবে দাম ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে সিন্ডিকেটে দাম বাড়ায় ৭০-৮০ টাকা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ