নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে প্রতিকেজি দেশী ও ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়েছে।

রাজশাহীর সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা রেজাউল করিম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সব ধরনের মুরগির দাম কম ছিল। তার কয়েকদিন পরেই আবার দাম বেড়েছে। মাঝখানে আবার ২ দিন দাম কমে গিয়ে একবারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২১) নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

এই মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্রয়লার ১৬৫ টাকা বিক্রি করছি এবং ছোট ব্রয়লার ১৭০ টাকা। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সোনালী ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ২১৫ টাকা; লাল লেয়ার ২৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২১০ টাকা, দেশী মুরগি প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আগে ছিল সাড়ে ৩’শ টাকা। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

আরেক ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মুরগির দাম চড়া। যা দাম আছে এই দামেই চলবে। বাজারে মুরগির কিছুটা টান আছে। মানুষ নতুন বছরের শুরুতে পিকনিক করবে ফলে মুরগির দাম বাড়তিই আছে।

বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, শীতে ডিমের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এবার তেমন বাড়লো না। বাজার থমকে আছে। প্রতিহালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। সাদা ডিম ৩০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি করছি।

পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে মুলত বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। আগে খামারিরা লোকসান করেছে। মুরগি উৎপাদন না হওয়ার কারণেই মূলত দাম বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি লাগে।

মুরগির দাম কমা বাড়ার কারন জানতে চাইলে রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মূলত দামের চাবিটা নাড়ায় হাতেগোনা কয়েকজন। গুটিকয়েক পোল্ট্রি কোম্পানির কারসজিতেই হুটহাট দাম চড়ে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোটবড় পোল্ট্রি শিল্প গড়ে উঠলেও রাজধানীর অদুরে টঙ্গী, বোর্ড বাজার, জয়দেবপুর ও গাজীপুর এলাকাকে ঘিরে দেশের সবচেয়ে বড় পোল্ট্রি শিল্প গড়ে উঠেছে। মূলত এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজার।

তিনি আরোও বলেন, ডিমের দাম আর বাড়বে না বলেই মনে হচ্ছে। খাদ্যের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা। কিন্তু ডিমের দাম সেভাবে বাড়েনি। বড় বড় কোম্পানিগুলো ডিম উৎপাদনে নেমেছে তাই প্রান্তিক খামারিদের দু:খ ঘোঁচে না। আর খাদ্যের দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।

বৈশ্বিকভাবে দাম ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে সিন্ডিকেটে দাম বাড়ায় ৭০-৮০ টাকা। এটা কোন নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। ডিমের দাম বাড়ানো প্রয়োজন। সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা হালি লাল ডিম থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ