নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামে এক কৃষকের বাড়ির উঠোনে লাগানো এক লাউগাছে এক বোঁটায় ৪০ লাউয়ের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল ২০২১) জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ। এসময় এক বোঁটায় ৩০ লাউয় ধরার ঘটনাকে ‘হরমোনাল ডিজ অর্ডারের’ ফল বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

 ‘আমরা ওই লাউগাছের থোকের লাউগুলোর ছবি তুলে তা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে পাঠিয়েছিলাম। সেগুলো দেখার পর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এটি কোনও জেনেটিক্যাল বিষয় নয়। এটি মূলত হরমোনাল ডিজঅর্ডারের ফল যা পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকতে পারে।’ এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের বরাত দিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

ভবিষ্যতে এই লাউয়ের জাত উন্নয়নের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এক্ষেত্রে জেনেটিক্যাল বৈশিষ্ট্য বহন করার সম্ভাবনা নেই। তারপরও তারা আমাদেরকে ওই থোক থেকে লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে চারা তৈরি করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বুধবার দুপুরে জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মোহন্তসহ ওই কৃষকের বাড়ির লাউগাছ পরিদর্শন করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ‘ওই থোকের লাউ থেকে বীজ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। আমরা ওই কৃষক পরিবারকে থোকের লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। বীজ পেলে আমরা ট্রায়ালে যাবো।’

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের কৃষক শামসুল হক ও আব্দুস ছালামের বাড়ির উঠোনে লাগানো লাউগা‌ছের গিটে এক থোকে ছোটবড় মিলে ৪০টি লাউ ধরেছিল। এখনও মাচা বা জাঙলায় লাউগাছের গিটের ওই থোকে প্রায় ৩৫টি লাউ ঝুলছে। এই অভূতপূর্ব ঘটনা দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষের আনা‌গোনা চল‌ছে।

কৃষক শামসুল হকের ছেলে জুয়েল রানা জানিয়েছেন, তার বোনের বাড়ি থেকে বীজ এনে তার মা ওই লাউ গাছ লাগিয়েছেন। গাছটিতে লাউয়ের স্বাভাবিক ফলন হলেও হঠাৎ একটি গিটে এক থোকে ছোট বড় ৪০টির মতো লাউ ধরে। এখনও প্রায় ৩৫টি লাউ রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ