অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত ৬০ বছরে চীনে ভুট্টার আমদানি চাহিদা দেখা যায়নি। তবে, করোনার মধ্যে গত কয়েক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টার চাহিদা বেড়েছে দেশটিতে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) বলেছে, এ বছর পুরো বিশ্ব থেকে চীন আনুমানিক ২ দশমিক ৪ কোটি টন ভুট্টা আমদানি করবে। যা চীনের ইতিহাসে হয়নি।

এরমধ্যে কিছু পূর্বাভাস বলছে, এর পরিমাণ তিন কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে। অথচ গত ৬০ বছরে চীন কেবল সাড়ে সাত কোটি টন ভুট্টা আমদানি করেছে।রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা আমদানি বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে এগ্রি ওয়েব।

গত ছয় বছরে পাঁচ কোটি টন ভুট্টা রফতানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর কেবল ৪ শতাংশ চীনের কাছে গেছে। এ সময়ের মধ্যে চীনের বার্ষিক চাহিদার অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ম্যাট ক্যাম্পবেল চীনে ভুট্টা রফতানি বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ বাণিজ্যবর্ষে ছয় কোটি টন ভুট্টা প্রতি বছর রফতানি করা হয়েছে। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। এ বছরও দেশটি রেকর্ড পরিমাণ বীজজাতীয় শস্য রফতানি করতে চায়। এর অর্থ হলো আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি পরিমাণে ভুট্টা ও গম রফতানি করতে হবে, যার পরিমাণ গত বছরের চেয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়াতে হবে।

এ বিপুল পরিমাণ দানা শস্য আমদানি সহজ কি না বিষয়ে অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এটি অবশ্যই সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এ কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন সক্ষমতারও একটি পরীক্ষা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  ইউএসডিএর পূর্বাভাস পূরণ করতে হলে এ ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদন, পরিবহন ও রফতানির সঙ্গে জড়িত সব ক্ষেত্রকে একযোগে তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে কাজ করতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ