নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজশাহীতে চড়া মসলার বাজার। এলাচের কেজি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি। সেইসাথে কয়েক দিনের ব্যবধানে জিরার কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। অন্যদিকে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মসলার দাম সাধারণত প্রতিবছরই দাম বৃদ্ধি হয়। অন্যান্য বছরের তুলনা এবার ঈদের আগে বেশ কিছু মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ শনিবার (২ জুলাই) রাজশাহীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজার, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষীপুর কাঁচাবাজারের মসলা ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজশাহী সাহেববাজারের মুদি দোকানদার শাহীনুর ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, প্রতিবছরই কুরবানির ঈদে মসলার দাম বাড়ে। এবার বাজার কিছুটা স্থিতিশীল মনে হচ্ছে। যে হারে অন্যান্য বছর দাম বাড়ে এবার মাত্র কয়েকটি মসলায় বেড়েছে। ক্রেতারা কিছু অস্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা বুঝে গেছেন-সবকিছুর দাম বেড়েছে সেক্ষেত্রে মসলার দামও বাড়তে পারে।

মসলার দাম জানতে চাইতে তিনি বলেন, ভারত থেকে এলাচ আসছে দেশে। তবে পরিমাণ কমেছে বলে জেনেছি। তাই কিছুটা দাম বেড়েছে। প্রতি কেজিতে দেড়শ থেকে দুশো টাকা বেড়েছে। জিরার কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ইন্ডিয়ান প্যাকেটজাত জিরার কেজিতে ২৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য মসলার দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। এলাচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা। মৌরি কেজি ২০০ টাকা, তেজপাতা কেজি ১০০ টাকা, লবঙ্গ কেজি এক হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১,০০০ টাকা কেজি,জয়ত্রি ১০০ টাকা কেজি, জয়ফল ৩০০ টাকা কেজি।

সকালে রাজশাহীর সাহেববাজারে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মানুষ মসলা কিনতে শুরু করেছেন। মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। এমনকি চালের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। মুদি দোকানদারদের এক মুহূর্ত হাত ফাঁকা নেই। খুচরা ও পাইকারী উভয় ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে একদিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে, এর প্রভাব পড়েনি রাজশাহীর বাজারগুলোতে।

রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রাকিব হাসান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, দেশী পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪৫ টাকা। ঈদের আগে ৫০ টাকা কেজি হতে পারে। ভারতীয় নাসিক জাতের লাল পেঁয়াজ মানুষ কিনতে চাচ্ছে না তাই দোকানে রাখিনি। দেশী পেঁয়াজে গরুর মাংসের স্বাদ বেশি তাই চাহিদাও বেশি। রসুন বিক্রি করছি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ভারত থেকে আমদানি করা বড় রসুন ১০০ আর দেশী ৮০ টাকা।

রাজশাহী নিউমার্কেটের মুদি দোকানদার নজরুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মসলা কিনতে শুরু করেছে মানুষ। চারশ থেকে পাঁচশ টাকার মসলা কিনলে অনেক পরিবারের কোরবানির মাংস খাওয়া শেষ হয়ে যায়। জিরা, দারচিনি, তেজপাতা, আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম এসময় প্রতিবছরই বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বাড়ার কারণ আমরা সেভাবে বলতে পারবনা। কারণ, বাংলাদেশে যে জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায় তার দাম বাড়ে। কিন্তু বছরে মসলা জাতীয় পণ্য এক থেকে দুবার আমদানি করা হয়। রাতারাতি তো আর পণ্য শেষ হয়ে যায় না। তাহলে কেন দাম বাড়ে সেটা আপনারাও জানেন আর জনগণও জানে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ