নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বছরে সাড়ে ৭ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমাণ জমিতে পাট চাষে দরকার হবে ৬৪০০ মে. টন বীজের। এর মধ্যে বীজ আমদানির অনুমতি রয়েছে ৫২০০ টনের।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কৃষকের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ বছর পাট ও পাট জাতীয় (মেস্তা ও কেনাফ) ফসলের বীজের বার্ষিক চাহিদা নির্ধারিত হয়েছে ৬ হাজার ৩৬৯ মেট্রিক টন।

এর মধ্যে বিএডিসি সরবরাহ করবে ১ হাজার ৩০০ টন বীজ, আর প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন বীজ ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি (২মার্চ) কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০২৩-২৪ বছরে প্রায় ৭ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট, মেস্তা ও কেনাফ ফসল চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে চাষের জন্য মোট পাটবীজের চাহিদা হলো প্রায় ৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ভারতীয় তোষা পাটের জাত জেআরও-৫২৪ এবং ৫৭৬ মেট্রিক টন মেস্তা/কেনাফের (মোট ৫১৭৬ মেট্রিক টন) বীজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

গত ২০২২-২৩ উৎপাদন বছরে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাটবীজের আমদানির অনুমতির বিপরীতে প্রকৃত আমদানি হয়েছিল ৪ হাজার ১৬৬ টন।

উল্লেখ্য, জাতীয় বীজ বোর্ডের একই সভায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি তোষা পাট ও একটি কেনাফ এর জাত ছাড়করণের অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া, ব্রি উদ্ভাবিত ০২ টি ধানের জাত ছাড়করণ করা হয়।