এ সময়ে বোরো ধানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ফসলের মাঠজুড়ে রয়েছে সবুজের সমাহরোহ। বোরো ধানের সুবজ পাতায় ছেয়ে আছে মাঠ। এখন ভালো যত্ন নিতে হবে বোরো ধানের। আসুন জেনে নেয়া যাক, এ সময়ে বোরো ধানের পরিচর্যা ও রোগবালাই দমনের কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

এ বিষয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা শীতের কারণে দেরিতে চারা রোপণ করেছেন তাদের ধানের চারার বয়স ৫০ থেকে ৫৫ দিন হলে ইউরিয়া সারের শেষ কিস্তি উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ক্ষেতে গুটি ইউরিয়া দিয়ে থাকলে ইউরিয়া সারের উপরিপ্রয়োগ করতে হবে না।

সার দেয়ার আগে জমির আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং জমি থেকে পানি সরিয়ে দিতে হবে।

এলাকার জমিতে যদি সালফার ও দস্তা সারের অভাব থাকে এবং জমি তৈরির সময় এ সারগুলো না দেয়া হয়ে থাকে তবে ফসলে পুষ্টির অভাবজনিত লক্ষণ পরীক্ষা করে শতাংশপ্রতি ২৫০ গ্রাম সালফার ও ৪০ গ্রাম দস্তা সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।

ধানের কাইচ থোড় আসা থেকে শুরু করে ধানের দুধ আসা পর্যন্ত ক্ষেতে ৩-৪ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে।

পোকা দমনের জন্য নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করতে হবে এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আলোর ফাঁদ পেতে, পোকা ধরার জাল ব্যবহার করে, ক্ষতিকর পোকার ডিমের গাদা নষ্ট করে, উপকারী পোকা সংরক্ষণ করে, ক্ষেতে ডাল-পালা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ধানক্ষেত বালাইমুক্ত করতে পারেন।

এসব পন্থায় রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করা না গেলে শেষ উপায় হিসেবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সঠিক বালাইনাশক, সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

এ সময় ধান ক্ষেতে উফরা, ব্লাস্ট, পাতাপোড়া ও টুংরো রোগ দেখা দেয়। জমিতে উফরা রোগ দেখা দিলে যে কোনো কৃমিনাশক যেমন ফুরাডান ৫ জি বা কিউরেটার ৫ জি বা ব্রিফার ৫জি প্রয়োগ করতে হবে।

ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে ইউরিয়া সারের উপরিপ্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে এবং শতাংশপ্রতি ১.৬ গ্রাম ট্রপার বা জিল বা নেটিভো বা ব্লাস্টিন ৭৫ ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে দুইবার প্রয়োগ করতে হবে।

জমিতে পাতা পোড়া রোগ হলে অতিরিক্ত ১.৫ কেজি/শতাংশ হারে পটাশ সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে এবং জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার সেচ দিতে হবে। টুংরো রোগ দমনের জন্য এর বাহক পোকা সবুজ পাতা ফড়িং দমন করতে হবে।

আরও পড়ুন: এই সময়ে অর্থাৎ চৈত্র মাসে সফলতায় ফসল, প্রাণি, মাছের যত্নে যা করতে হবে

এ সময়ে বোরো ধানের পরিচর্যা ও রোগবালাই দমনের কৌশল গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তবেই মিলবে শতভাগ ফলন।