নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কবি, সাহিত্যিকের আলোচনা ও কবিতায় ইলিশকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইলিশের পক্ষে একাধিক কবিতা পাঠ করেছেন ভারত ও বাংলাদেশের কবিরা।

কবি সাহিত্যিকের এমনই রসালো আলোচনার মধ্যে দিয়ে রাজধানীতে তিনদিনব্যাপী (২৭-২৯ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০১৮’ শুরু হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে এমন আয়োজন করেছে ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ নামের একটি সংস্থা।

এতে প্রধান অতিথি থেকে উৎসব উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ সময় তিনি ইলিশের প্রাচুর্যবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের মতন জাটকা নিধন রোধ এবং মা-ইলিশের আহরণরোধেও দরকার আন্তঃদেশীয় সমন্বিত উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন।

কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সংসদ সদস্য কাজী রোজী, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগসচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেনসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকেরা উপস্থিত থেকে ইলিশের পক্ষে কবিতাপাঠে অংশ নেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী কবি-সাহিত্যিক অংশগ্রহণে ইলিশকে কাব্যে স্থান দেয়ার মাধ্যমে এর প্রচার-প্রসার ও  উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংস্থাটির অবদানমূলক এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

তিনিও তার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ইলিশের পক্ষে জনমতগঠনের ব্যাপারের আশাবাদ প্রকাশ করেন।

ইলিশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দেশবাসীসহ সরকারের কঠোর মনোভাবের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের নির্দিষ্ট কোনো দেশ নেই বলে অবারিত সাগর-নদীর মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় অবস্থানে এরা বেড়ে ওঠে।

বক্তারা আলোচনা ও কাব্যে ইলিশের গুণগানের মাধ্যমে এর প্রাচুর্যবৃদ্ধি এবং ঐতিহ্যসংরক্ষণের ওপর জোর  দেন এবং আবার মাছে ভাতে বাঙালির হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনায় সরকারসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো শাহ আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।