ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মৌসুমের শুরুতেই নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে ধানের দাম ছিল বেশ ভালো।ধানের দামে খুশি হলেও বেশিদিন টিকলো ধানের দাম। বর্তমানে নতুন ধান আমনের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতে দাম নিয়ে হতাশ কৃষকরা।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁর বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন ধানের দাম প্রতি মণে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বোরোর পর আমন ধানের বাজারও মন্দা হওয়ায় কৃষকেরা চরম চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার জেলার মান্দা উপজেলার সতিহাটে দেখা যায় ধানের সরবরাহ বেড়েছে। হাটে তেমন ক্রেতার দেখাও মেলেনি। গত ১৫-২০ দিন আগেও ধানের দাম ছিল বেশি।

এতে কৃষকের চোখ-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন করা হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার খ্যাত জেলা নওগাঁ। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে এই আমন ধান চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।

ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। এদিকে ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং হালখাতা। বকেয়া পরিশোধ করতে বাজারে ধানের আমদানি বেড়েছে।

ধানের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কমেছে। এ কারণে বর্তমানে বাজারগুলোতে ধানের দাম কমে গেছে। হঠাৎ ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের চোখ-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষক মমতাজ আলী, আবদুল জব্বারসহ অনেকেই এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ১৫ দিন আগে স্বর্ণা-৫ ধানের দাম ছিল ১ হাজার ১৫০ টাকা মণ, আর গুটি স্বর্ণা ধানের দাম ছিল ১ হাজার ৫০ টাকা মণ।

মান্দার সতীহাটসহ অন্যান্য হাটে সেই স্বর্ণা-৫ ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার থেকে হাজার ৫০ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার টাকা মণ। এমনি করে সব জাতের ধানের দাম মণপ্রতি কমেছে ১০০-১৫০ টাকা।

সতিহাটের ধানের আড়তদার বাবুল চৌধুরী, আবদুর রশিদ মণ্ডল এবং মঞ্জু এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং হালখাতার কারণে বাজারে ধানের আমদানি বেশি হয়েছে।

কমছে ধানের দাম, হতাশ কৃষকেরা এদিকে চালকল মালিকরা ধান কেনা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। বাজারে ধানের আমদানি বেশি হলেও ক্রেতা কম থাকায় দাম কমে গেছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ