অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে ফিউচার মার্কেটে। মে মাসে মজুদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়ার কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। বরং কমেছে পামওয়েলের দাম।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল রফতানিকারক। দেশটি তাদের অপরিশোধিত পাম অয়েলের রফতানি কর পর্যালোচনা করছে। তবে খাতসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানায়, তারা এখনো কর কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এটির কারণ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েলের ওপর আরোপিত রফতানি কর কামিয়ে আনার সম্ভাবনা মূল্যহ্রাসে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বাজার আদর্শ পাম অয়েলের আগস্টে সরবরাহ চুক্তিমূল্য ১৬২ রিঙ্গিত বা ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৩ হাজার ৯৬৭ রিঙ্গিত বা ৯৬২ ডলার ৮৬ সেন্টে নেমেছে, যা সর্বশেষ তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কুয়ালালামপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ডালিয়ান পাম অলিনে পণ্যটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য কমে যাওয়ায় বাজার নিম্নমুখী। ইন্দোনেশিয়া ভোজ্যতেলটির ওপর আরোপিত কর কমাবে, এমন গুঞ্জনের মধ্যে পণ্যটির দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (এমপিওএ) মে মাসের উৎপাদন নিয়ে প্রাক্কলন করেছে। প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী গত মাসে দেশটির পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ এপ্রিলের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২০ হাজার টনে।

রয়টার্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মে মাসের শেষে মজুদের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা গত আট মাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ। ব্যবসায়ীরা এখন মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের মে মাসের সরবরাহ ও চাহিদার তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্লাটসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর মালয়েশিয়া গত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ পাম অয়েল উত্তোলন করতে সক্ষম হবে। মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের মহাপরিচালক আহমেদ পারভেজ গোলাম কাদির বলেন, চলতি বছর মালয়েশিয়ার আবহাওয়া পাম অয়েল উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। পাশাপাশি এবার আবাদের পরিমাণও বেড়েছে। ফলে এ খাতে বড় পরিসরে প্রবৃদ্ধি আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। তবে দেশটি এ বছর কী পরিমাণ পাম অয়েল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে তা তিনি জানাননি।

এদিকে ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সর্বাধিক লেনদেন হওয়া সয়াবিন তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য কমেছে ৩ শতাংশ। অন্যদিকে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) সয়াবিন তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ