আবহাওয়া ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শঙ্কা কাটেনি, চলতি নভেম্বরেও ভয়ঙ্কর সুনামি আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরের নতুন করে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘ম্যান্দোস’। সাগরে দুইটি লঘুচাপ-নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে দপ্তরটি।
চলতি মাসে সুনামির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো: তরিফুল নেওয়াজ করিম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আগামী ১০ দিন আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে এ সময় পার হওয়ার পর সুনামি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যতগুলো বড় বড় সুনামি হয়েছে সেগুলো বেশিরভাগই নভেম্বর মাসে। তাই শঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে। কিছু বিষয়ে জানতে পারলেই আমরা আবহাওয়ার বুলেটিন প্রকাশ করব। জনগণকে সচেতন করতে পারব।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসেও বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াগত কারণে নভেম্বর মাসে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেলেও সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় তাপমাত্রা ততটা কমবে না। এই তারতম্য দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়াগত পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আগামী ৭ দিনের আবহাওয়া জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, এখন যে আবহাওয়ার চলমান পরিস্থিতি সেটা চলবে আরো দুই সপ্তাহ। শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। সারাদেশে শীত নামতে সময় লাগবে। চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। মাসের মাঝামাঝি সময় পর থেকে সারাদেশে শীত পড়বে। আপাতত মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বেশিই থাকবে।
এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:
আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
নামতে পারে শীত, ৭ দিনের কৃষি আবহাওয়া জানাল দপ্তর
শীত নিয়ে আবহাওয়া দপ্তরের নতুন তথ্য
আবহাওয়া অধিদপ্তর মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, এ দেশে ঘূর্ণিঝড়ের অতীত পর্যায়ক্রম থেকে জানা যায়, কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস এ অঞ্চলে আঘাত হানে এবং ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে দুটি লঘুচাপ। যার একটি শেষ পর্যন্ত বড় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সিনটপিক অবস্থায় মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও আবহাওয়া এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া ঢাকায় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৯ মিনিটে এবং সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে।
কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সপ্তাহে দৈনিক উজ্জ্বল সূর্য কিরণ কাল ৬.০০ থেকে ৭.০০ ঘন্টার মধ্যে থাকতে পারে । এ সপ্তাহে বাষ্পীভবনের দৈনিক গড় ৩.০০ মি.মি. থেকে ৪.০০ মি.মি. থাকতে পারে। গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক উজ্জ্বল সূর্যকিরণ কালের গড় ৬.৯৬ ঘন্টা ছিল। গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক বাষ্পীভবনের গড় ২.৬৯ মিঃ মিঃ ছিল।
এদিকে নভেম্বর মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাবে জানিয়ে আরও বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলসহ নদী অববাহিকায় ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।