ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কুমিল্লার ধু-ধু চরে গড়ে উঠেছে খিরার রাজ্য। চারদিকে শধু খিরা আর খিরা ক্ষেত। নারী, পুরুষ ও শিশু খিরা ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। কেউবা খিরা তুলছে, কেউবা খিরা বাছাই করছে, আবার কেউবা বস্তায় ভরছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং খিরার ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন খিরা চাষ বাড়ছে এ অঞ্চলে। খিরা চাষ করে অনেক কৃষকরাই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে খিরার চাষ হয়েছে। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন খিরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। মেঘনার লুটেরচর, বাটেরচর, আনারপুরা ও বড়াইকান্দি চরে খিরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ খিরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খিরা উঠতে শুরু করেছে।

উপজেলার চাষিরা বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষাবাদের প্রতি তাদের ঝোঁক। ১ বিঘা জমিতে খিরার চাষ করতে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরও ৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মত খরচ হয়।

বাটেরচরের খিরা ক্ষেতে কথা হয় রফেজা বেগমের সঙ্গে। তার কথা, আমার বাপ গরীব মানুষ। খিরা ক্ষেত কইরা চারটা ডাল-ভাত পেটে দিবার পারি। এইডা আমাগ সুখ।

কুমিল্লার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি অফিস থেকে খিরা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কারণে দিন দিন খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন এখানকার চাষিরা।কুমিল্লার ধু-ধু চরে খিরার রাজ্য সংবাদের তথ্য বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ