ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের কৃষকের মন পড়ার উপযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান।

বাগেরহাট জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের সময়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

কৃষি সচিব সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে কৃষকের মন পড়ার উপযোগী হতে হবে। একই ফসল বেশী উৎপাদন না করে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের পরামর্শ দিলে কৃষক ভাল বাজার মূল্য পাবে। দেশের সকল এলাকার কৃষককে গ্রুপে ভাগ করে রাজস্ব অর্থে প্রদশর্নী দেয়া হবে।

গত ১৭ নভেম্বর বাগেরহাট খামারবাড়ির সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলা কৃষি অফিসার এবং জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে  এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ডিএই খুলনা আঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান   সভাপতিত্ব করেন।

সচিব বলেন, দেশের দক্ষিণঞ্চলের কৃষি জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে এজন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের আবাদ বাড়াতে হবে।

তিনি আউশ মৌসুমে সারাদেশে আরো ১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিজ্ঞনীসহ কৃষিবিদদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদেরকে ৩ লক্ষ অতিরিক্ত মানুষের জন্য চাল উৎপাদন করতে হবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার ফসল ভূট্টা চাষের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ বছর ৩৮ লক্ষ মে.টন ভূট্টা উৎপাদিত হয়েছে, এ উৎপাদনকে ১ কোটি মে.টনে নিয়ে যেতে হবে।

সচিব দক্ষিণাঞ্চলে ঘেরের লিজ প্রসংগে বলেন, লিজ/বর্গা এলাকায় কৃষক যাতে কৃষি কার্ড পায় সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এসব এলাকায় মিঠা পানির ফ্লো বাড়িয়ে উৎপাদন বাড়াতে জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, এক জাতীয় সব্জির আবাদ না করে বিভিন্ন জাতের সব্জির আবাদ ও সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনা করতে পারলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবে। তিনি জলাবদ্ধ এলাকায় ঘেরের পানি ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মতবিনিময় সভায় ডিএই বাগেরহাট এর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি অফিসার বৃন্দ, বিএডিসি,এআইএস, উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কেন্দ্র মংলা , এসসিএ, এসআডিআই, বারি, ব্রি, বিনাসহ অন্যান্য সংস্থার ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায়  ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।