নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: “শর্তসাপেক্ষে ফল ও শাকসবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন, সম্পূর্ণ দেশীয় কৃষি হতে শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী শিল্প এবং কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনে নতুন বিনিয়োগে থাকবে ১০ বছরের করমুক্তি সুবিধার প্রস্তাব করছি।” বাজেট উপস্থাপনকালে এমনটিই বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “দেশীয় কৃষিভিত্তিক শিল্পে বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিজাত পণ্যের আমদানি বিকল্প তৈরির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ ও কমর্সংস্থান সম্ভব।

“একই সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের এ যুগে কৃষ পণ্যে মূল্য সংযোজন ও বৈচিত্রকরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক রপ্তানি বাণিজ্যের দখল নেওয়া সম্ভব।“

শর্তের মধ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা এ খাতে বিনিয়োগ করবেন, তারা এই আয়কর অব্যাহতির সুবিধা পাবেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা বলেছেন।

করমুক্তি সুবিধা নিতে ন্যূনতম এক কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বিডার নিবন্ধন নিতে হবে। কাঁচামাল পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হতে হবে।

মহামারীকালে অর্থনীতি গতিশীল করার পাশাপাশি নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে এমন উদ্যোগ। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন উদ্যোগ সৃষ্টি ও তরুণদের আরো সেখানে অর্ন্তভূক্ত করাই এর উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কৃষির পাশাপাশি ইলেকট্রনিকক্স খাতের স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণেও থাকছে বিশেষ ছাড়। অর্থমন্ত্রী হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছরের কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। আগামী অর্থবছরে হালকা প্রকৌশল শিল্পেও ১০ বছর কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

কর অবকাশের ক্ষেত্রে অন্য খাতের মত এসব শিল্পেও প্রথম থেকে দশম বছর পর্যন্ত ১০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কর মওকুফের সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তারা। দেশে ইলেকট্রিক সামগ্রী উৎপাদনে ২০১০ সালে প্রথম ভ্যাট ও কর ছাড় দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আমদানিনির্ভরতা ও দাম কমেছে। দেশে ব্যবহারও বেড়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ