নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশগুলোকে এখন থেকে নতুন করে গবেষণা নিয়ে ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আরোও বলেন, সম্প্রতি কৃষিগবেষণার ১৫টি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর গবেষণা নিয়ে এই নতুন চিন্তাধারায় আমাদের কয়েক ধাপ এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে পারে ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ এর মতো বৈশ্বিক উদ্যোগ।
আজ বৃহস্পতিবার ( ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) আয়োজিত ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ বিষয়ে অনলাইন ব্রিফিং সেশনে এই মন্তব্য করেন।
এতে ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং কৃষিসচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানকে অবহিত করেন ইরির মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেল।
ওয়ান সিজিআইএআর’র ‘২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্বগড়ার’ অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার আগামীতে এই উদ্যোগকে সর্বোতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। বাংলাদেশের কৃষি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইরিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো জোরালো কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে আসবে বলেও কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে কৃষি ঋণ বিতরণের গতি বেড়েছে
বন্যায় ১৩ লাখ কৃষকের ক্ষতি পোষাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যেসব উদ্যোগ
ইরি ছাড়াও ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ উদ্যোগের সাথে রয়েছে আইএফপিআরআই, ওয়ার্ল্ড ফিশ, সিআইএমএমওয়াইটি, আফ্রিকা রাইস, আইসিআরআইএসএটি, ইন্টারন্যাশনাল লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএলআরআই), ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (আইডাব্লুএমআই), ওয়ার্ল্ড এগ্রো ফরেস্ট্রি (আইসিআরএফ), জোট অব বায়োভারসিটি ইন্টারন্যাশনাল এবং ট্রপিকাল এগ্রিকালচারাল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার (সিআইএটি) , আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র (সিআইপি), আন্তর্জাতিক ক্রান্তীয় কৃষি ইনস্টিটিউট (আইআইটিএ), আন্তর্জাতিক বনায়ন গবেষণা কেন্দ্র, শুকনো অঞ্চলে আন্তর্জাতিক গবেষণা গবেষণা কেন্দ্র (আইসিএআরডিএ) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো আগামীতে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনমান উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য প্রভৃতি বিষয়ে একযোগে কাজ করবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছে ।
কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেন, ইরিসহ ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ প্ল্যাটফরমের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নতুন এই ‘ওয়ান সিজিআইএআর’ প্ল্যাটফরম গবেষণার জন্য যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেবে, তার সাথে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনার অনেক মিল আছে। এ কারণে ভবিষ্যতে নতুন নতুন আরো অনেক অংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইরির মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেল বলেন, এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে ইরি-ব্রির চলমান গবেষণা কার্যক্রমে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বরং এটি ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী ও জোরালো হবে।
অনলাইন ব্রিফিংয়ে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর, ইরির গ্লোবাল ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. জিম গডফ্রে, ইরির দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি ড. নাফিস মিয়া এবং ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারি, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এম বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
কৃষি গবেষণায় কৃষিপ্রধান দেশগুলোকে নতুন করে ভাবতে হবে শিরোনামে সংবাদের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া।