কৃষি যান্ত্রকিকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি যান্ত্রকিকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নিরাপদ-পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময়ে তিনি জানান, ১১৭ দেশের মধ্যে ক্ষুধা সুচকে বাংলাদেশ ৮৮তম স্থানে রয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ক্ষুধা সুচক ২০১৯ এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়পযোগি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। কৃষিজমি কৃমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ।

তিনি বলেন, ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর চাল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে।

বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে নং এমডিজি’র লক্ষ্য প্রায় সবগুলো অর্জন করেছে।

এসময়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১১৭ টি দেশের মধ্যে ক্ষুধা সুচকে ৮৮ তম হয়েছে, স্কোর ২৫.৮ যেখানে ২০০০ সালে ছিল ৩৬। এসকল দেশের মধ্যে ৪৭ টি দেশের অবস্থা মারাত্মক।

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য একটি চেইন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে কৃষক ভোক্তা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যপারগুলো জরিত। সরকার সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বল্লেন কৃষি মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার হাতে দেশ যত দিন আছে  এদেশে থেতে ক্ষুধা দারিদ্র দবও হবেই হবে। বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ।

মন্ত্রী আরও বলেন; বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ঝুকিপুর্ণ দেশ হওয়া সত্তেও খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন লক্ষ্য আধুনিক কৃষি, বানিজ্যিক কৃষি এবং নিরাপদ কৃষি।

উল্লেখ্য; বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোনটির জনগণ কতটা খাদ্যাভাব অর্থাৎ ক্ষুধায় পীড়িত, তা তুলে ধরা হয় বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে। এই সূচকে ০ থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে দেশগুলোকে ফেলে যাচাই করা হয় কোন দেশটি কতটা ক্ষুধাপীড়িত।

এই মাপকাঠিতে ০ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ক্ষুধা নেই, আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। ১০ এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ হলো সেই দেশে ক্ষুধা সমস্যা কম।

২০ থেকে ৩৪.৯ স্কোরের অর্থ তীব্র ক্ষুধা, ৩৫ থেকে ৪৯.৯ অর্থ ভীতিকর ক্ষুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধায় পীড়িত দেশকে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে ধারাবাহিকভাবে। মোট স্কোর গতবারের ২৬.১ থেকে কমে হয়েছে ২৫.৮।

তারপরও বাংলাদেশ বৈশ্বিক অবস্থানে দুই ধাপ পিছিয়েছে, কারণ অন্যদের উন্নতি ঘটছে আরও দ্রুতগতিতে। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত ১০২, পাকিস্তান ৯৪, নেপাল ৭৩, মিয়ানমার ৬৯ এবং শ্রীলঙ্কা ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে কী নোট উপস্থাপন করেন ডা. এসএম মোস্তফিজুর রহমান,লাইন ডাইরেক্টর,জাতিয় পুষ্টি সেবা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিল এর মহা পরিচালক ডা. শাহ নেওয়াজ; কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর কান্ট্রি ডাইরেক্টর একেএম মুসা; হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা।

কৃষি যান্ত্রকিকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নিরাপদ-পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত হবে সংবাদটির তথ্য কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।