ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিত করতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিত করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে; কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান এ মন্তব্য করেছেন।

আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএও এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ই-পেস্ট সার্ভিল্যান্স ও ফল আর্মিওয়ার্ম প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।



কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন ৬১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নিত করবো।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের কীটনাশক ডিলাররা যে পোকার জন্য যে ওষুধ নয়, তারা সেই ঔষধ কৃষকদের দিচ্ছে ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একারণে ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিত করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন এ কর্মকর্তা বলেন, ফল আর্মিওয়ার্ম  যেহেতু মাটিতে বাসা বাঁধে এটি দমনের একমাত্র উপায় হচ্ছে আগুন দিয়ে পুড়ে মারা। সরকারের প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়ে এফএও আর্মিওয়ার্ম দমনে সহযোগিতা করছে এটা খুবই ভালো। আমরা চাই একজন কৃষকও যেন এ পোকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

পেঁয়াজের আমদানির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, দ্রুতই বিদেশ থেকে পেয়াজ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগাম বৃষ্টির কারণে পেয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে তাই দাম অস্বাভিকভাবে বেড়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দানাদার খাদ্য তালিকায় ভুট্টার তেমন অবদান ছিল না। দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। ফলে দেশের ভুট্টার উৎপাদন দিন দিন বেড়ে চলছে। ভুট্টা এখন যুক্ত হচ্ছে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে। ভুট্টার ভবিষৎ খুবই ভালো। তবে ভুট্টার জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ।

ভুট্টার জন্যে বেশি ক্ষতিকারক হচ্ছে ফল আর্মিওয়ার্ম উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি দমনের কোন কীটনাশক নেই। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নজরদারি কৃষির জন্য মঙ্গলজনক হবে। সোলার পদ্ধতিতে পরিবেশবান্দব কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য ই-পেষ্ট কার্যক্রম খুবই উপযোগী।

কৃষি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু গার্মেন্টস এর ওপর নির্ভরশীল থাকবো না।  কৃষিও দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখন কৃষির আধুনিকায়নের কাজ চলছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠোনে আরো বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন।

আরও পড়ুন: সোলার পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব কীটপতঙ্গ দমনে ই-পেষ্ট কার্যক্রম খুবই উপযোগী