পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শুধু খাধ্য নিরাপত্তা নয় এর সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।  

সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আঞ্চলিক পরিকল্পনা কর্মশালায় ২০১৮-১৯ বক্তারা এ মন্তব্য করেছেন।

গত ২০ জুলাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের উদ্যোগে কর্মশালাটি বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ আবদুল মুঈদ।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শাহ আলম, ঈশ্বরদি এটিআই-এর অধ্যক্ষ কৃষিবিদ এস এম হাছেন আলী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্প কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মহাম্মদ মাইদুর রহমান। এ সময় তিনি জানান, প্রকল্প কার্যক্রমে এবার ১৬ ধরনের প্রদর্শণী বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রকল্প এলাকা হবে ২৯ জেলার ৮৮ টি উপজেলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তাঁর বক্তব্যে জানান, এ প্রকল্প হতে যে সকল কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে তা আগামীতে কৃষি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের আহ্বান এবং এসডিজির লক্ষ্য পূরণে এ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে মত প্রকাশ করেন এ বক্তা।

ডিএই মহাপরিচালক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন ২ গুন করার যে লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কাজ করছে তা পূরনেও এ প্রকল্পের কার্যক্রম ভ’মিকা রাখবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি চরাঞ্চল এবং ভুট্রা ফসলের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বানের পাশাপাশি কৃষকদের উপযুক্ত পরামর্শ এবং এর ফিডব্যাকের ওপর বিশেষ গুরত্ব প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবে এখন পুষ্টির দিকে সকলকে নজর দিতে হবে। আগামীতে এই কার্যক্রম হতে কৃষকের কাঙ্খিত পরিবর্তন গুলো ডকুমেন্টেশন করার ওপর বিশেষ গুরত্ব প্রদান করেন। প্রকল্প কার্যক্রম দ্রুত মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও আহ্বান জানান এ বক্তা।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে চরাঞ্চালে নতুন ফসলের জাত সম্প্রসারণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি গবেষণা, বিএডিসি, এআইএস, এসসিএ, আরডিএ এবং কৃষক সহ বিভিন্ন কৃষি দপ্তরের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ দাতা: মোঃ আব্দুল্লাহ –হিল-কাফি, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী।