পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ মাংসের চাহিদা পূরণ করে ব্রয়লার মুরগি। দেশে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে বাড়ন্ত এ জাত। খামারিরা মুরগি পালনে সামান্য কিছু বিষয় খেয়াল না রাখার কারণে লোকসানে পড়েন। তাই খামারে ব্রয়লার বাচ্চা তুলতে কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা অধিক জরুরি।

বাণিজ্যিকভাবে বা ব্যবসায়ের জন্য ব্রয়লার মুরগি নির্বাচন করবেন যেভাবে: 

(১) একদিনের বাচ্চার ওজন হবে ৩৬ থেকে ৪০ গ্রাম। দেখা গেছে এদিনের বাচ্চার দেহের ওজন যদি ভাল হয় তবে বেচার সময় ব্রয়লার মুরগির ওজন ভালই দাড়াবে।

(২) বংশগতি ধারার ভাল ক্রিয়াকর্মঃ যদি ভাল বংশগতি ধারার মুরগির বাচ্চা না হয় তবে ব্যবসায় খুব এটা সুবিধা হবে না। প্রায়ই সময় দেখা যায় একদল ব্রয়লার মুরগি অন্য দলের চেয়ে ভাল বাড়ে, বেশি সংখ্যায় বাছে, সুলক্ষণযুক্ত, সমান এবং বেশ ভালো পরিমাণে দেহে মাংস লাগায় সুষম খাদ্য খাওয়ার অনুপাতে । যে বাচ্চা মুরগির প্রেরক অবশ্যই শৃঙ্খলের কায়দার মুরগির বাচ্চা দিয়ে যাবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই সম্পূর্ণ ব্যবসাটি মার খাবে। আরো ভাল হয় যদি হ্যাচারি সংস্থা সমপ্রসারণ এবং কারিগরি জ্ঞান দরকার পড়লে দিতে পারে।

(৩) সুষম খাদ্য খুব উঁচুমানের হওয়া চাই। অর্থাৎ খাওয়ার অনুপাতে দেহে যেন মাংস লাগে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ার জন্য ব্রয়লারের দরকার একই সঙ্গে উচ্চু পর্যায়ে আমিষ এবং শক্তি বা বেশি তাপ দিতে পারে এমন খাবার। ০-৬ সপ্তাহের ব্চাচার জন্য ব্রয়লার সুশস খাদ্যে থাকবে প্রতি কেজি খাবারে আমিষ ২২.২৪% , বিপাকীয় তাপ ২৯০০-৩০০০ কিলোক্যালরি। ব্রয়লার মুরগির সুষম খাদ্যে থাকবে ১৯-২০%, বিপাকীয় তাপ ৩০০০/৩২০০০ কিলো ক্যালরি প্রতি কেজি খাবারে। ব্রয়লার বাজারে যাবার আগের খাবার ৫-৬ সপ্তাহ বয়সে দেওয়া যেতে পারে।

(৪) আমিষ বিশেষ করে অ্যামাইনো অ্যাসিড গুলির মধ্যে লাইসিন এবং মেথিওনিন খবুই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এরা মুরগির বাড়ের জন্য সাহায্য করে। খাবারকে মাংসে পরিনত করে। ফলে ব্রয়লার ব্যবসায়ে পয়সা আসে।

(৫) ব্রয়লার মুরগির খাবারে মোটা আশের শতকরা হার ৬ এর বেশিদ কখনোই হবে না।

(৬) ভিটামিন A, B2, D3, B12 এবং K খুবই প্রয়োজনীয়।

(৭) পটাসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাঙ্গানিজ সালফেট এবং জিঙ্ক কার্বনেট পৃথকভাবে ভাল করে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো উচিত।

(৮) ব্রয়লার মুরগির খাবারে বীজঘ্ন নামমাত্র পরিমাণে মেশানো উচিত। লাভটা এই হবে বাচ্চা মুরগির দেহে সুপ্তভাবে যদি কোন রোগ থেকে থাকে তবে এই বীজঘ্ন খাওয়াবার দরুন মুরগির দেহে চট করে রোগাক্রমণ ঘটবে না।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ