ডেইরি ডেস্ক, এ্রগ্রিকেয়ার২৪.কম: মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা শত কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। কারণ ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করতে আগেই শত কোটি টাকা দাদন হিসেবে বিনিয়োগ করেছেন।

গত সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে কোনও গবাদিপশু আসেনি। এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে গবাদিপশু আমদানি।

টেকনাফ উপজেলার পশু আমদানিকারক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ বলেন, ‘সামনে ঈদুল আজহা। এমন সময় হঠাৎ মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে। কারণ মিয়ানমারের পশু ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকা দাদন দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানিকে সামনে রেখে সে দেশে অনেক পশু মজুত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা ভেবে পশু আমদানি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কক্সবাজারের আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গার মাঝে কোরবানির মাংসের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না।’

সোমবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘দেশের খামারিদের কথা ভেবে সরকার মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন থেকে কোনও ভাবেই সেখান থেকে গরু-মহিষ আমদানি করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসার পর্যন্ত, ওপার থেকে গবাদিপশু আসা বন্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিজিবি ও শুল্ক স্টেশনকে অবহিত করা হয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ ভর্তি কোনও ট্রলার শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে আসেনি। তবে সর্বশেষ জুলাই মাসের চার দিনে মিয়ানমার থেকে ৮৩টি গরু এসেছিল। গত মে ও জুন এ দু’মাসে মিয়ানমার থেকে ২৫ হাজার ৮৬৮টি গরু ও ৪ হাজার ২৫৮টি মহিষ আমদানি করা হয়েছে। আর আমদানি বাবদ এক কোটি ৫০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে শুল্ক বিভাগ।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আব্দুন নুর বলেন, ‘জেলা চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি বন্ধ রয়েছে। এরপরও কেউ পশু আমদানি করলে চোরাচালান আইনে মামলা দেওয়া হবে। তবে ওই বৈঠকের আগে মিয়ানমার থেকে যেসব পশু আমদানি করা হয়েছে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ