বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সর্ববৃহৎ শষ্যচিত্র (লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক) ক্যাটাগরিতে গিনেজ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। বগুড়ার শেরপুরে ১০০ বিঘা ধানের খেতে তৈরি করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ ২০২১) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে এই রেকর্ডটি যুক্ত হয়েছে। বিষয়টি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের পৃষ্ঠপোষক এবং প্রধান সমন্বয়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

আজ সন্ধ্যায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অফিশিয়ালি মেইলের মাধ্যমে আজ বিকেল পৌনে ৪টায় গিনেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানায়। তাদের ওয়েবসাইট ও বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দুয়েকদিনের মধ্যে আপলোড করা হতে পারে।

শস্য ক্ষেতে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পথেই ছিল। ধানের চারায় জাতির পিতার চিত্র ফুটিয়ে তোলার এই কাজ চলছে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। এটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছিলেন আয়োজকরা।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র কার্যক্রমের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে আমাদের বিষয়টি (রেকর্ড) জানিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর তথ্য প্রকাশ করেছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন। দেশের জন্য বড় অর্জন। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটিও তার একটি মাইলফলক।

গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলেও সেখানে কোন ছবি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ফয়জুল সিদ্দিকী বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ছবি দেখা যাবে না। গিনেস কর্তৃপক্ষ ছবি আপলোড করে না। চূড়ান্তভাবে গিনেস কর্তৃপক্ষ শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুকে রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিই এখন লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইকের বিশ্ব রেকর্ড।’

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। কোনো নেতার গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ডটি চীনের দখলে। ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ দশমিক ১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তোলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল।

গত ৯ মার্চ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে এই কার্যক্রম পরিদর্শন করে গেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি দল। একসপ্তাহ পরই সেটি গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্ত হলো রেকর্ড হিসেবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ