ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল। অন্নপূর্না কিংবা এভারেস্টে জয়ের জন্য সারা বছরই তারা এখানে ভিড় করেন। এছাড়াও এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য, খাবার যে কোনো পর্যটককেই মুগ্ধ করে।

নেপাল পর্বতারোহীদের পছন্দের দেশ হলেও সাধারণ পর্যটরাও এখানে যান হিমালয়ের পাশ থেকে সুর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে। অন্নপূর্না পর্বতের তুষার শুভ্র চূড়া দেখতেও কেউ কেউ ভিড় করেন সেখানে।এছাড়া কাঠমান্ডু, পাটান কিংবা ভক্তের মতো মধ্যযুগীয় শহরে ঘুরে বেড়াতেও পছন্দ করেন অনেকে।

গোটা নেপালে ছড়িয়ে আছে হাজারো বছরের পুরনো মঠ আর বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের নিদর্শণের চিহ্ন, মন্দির।পৃথিবীর যেসব দেশে সহজে একা ভ্রমণ করা যায় তার মধ্যে নেপাল অন্যতম। এ দেশে যেতে ভিসার কোনো ঝামেলা নেই। ওই দেশে পৌঁছে এয়ারপোর্টে ভিসা নিতে হয়।

মন্দিরের শহর কাঠমাণ্ডু আর অন্নপূর্ণার কোল ঘেঁষা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর পোখারা যেন এক টুকরো স্বর্গরাজ্য।এ দেশের থামেল এবং পোখারার ট্রেকিংয়ের দোকান, বেকারি কিংবা অন্যান্য দোকানে ঘুরতে ঘুরতে মনে হতে পারে আপনি ডিজনিল্যান্ডে আছেন। নেপালের সংস্কৃতি অনেকগুলো দেশীয় আদিবাসী গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।নেপালের দক্ষিণাংশের জীবন আবার সম্পূর্ণই ভিন্ন রকমের। সেখানে বন্য জীবন এবং পশু-পাখি অনেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এ অঞ্চলে পর্যটকদের জন্য রয়েছে সাফারি পার্কও।

মোটরসাইকেল, গাড়ি কিংবা পর্যটন বাস –যাতে করেই আপনি দেশটি ভ্রমণ করুন না কেন এখানকার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। সারাবছর এখানে পর্যটকের আনাগোনা থাকলেও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস এখানে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ এ সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে, হিমালয়ও তার অপূর্ব সৌন্দর্য তুলে ধরে।

ঘুরে আসুন হিমালয় কন্যা নেপালে শিরোনামে সংবাদের তথ্য সমকাল থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি