অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ফের কমেছে। ফিউচারস মার্কেটে গতকাল যে দামে তেল বিক্রি হয়েছে তা চলতি মাসে সর্বনিম্ন দাম। তেলের দাম সর্বনিন্ম হওয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের বাজার নিম্নমুখী হয়ে ওঠায় বাজার আদর্শটির দাম কমেছে। গতকাল বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৪ রিঙ্গিত বা ৮৭৫ ডলার ২০ সেন্টে। এ মাসের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন দাম।

গতকাল ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে। পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য কমেছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এক্সচেঞ্জটিতে পাঁচ মাসের মধ্যে পাম অয়েলের দাম সর্বনিম্নে নেমেছে। এদিকে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিন তেলের দাম দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। শুক্রবার কমেছিল ২ দশমিক ১২ শতাংশ।

কুয়ালালামপুরভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের দাম কমায় নিম্নমুখী চাপে পড়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজার। এছাড়া মার্কিন কৃষি বিভাগ প্রকাশিত কৃষিপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহবিষয়ক প্রতিবেদনও দাম কমাতে সহায়তা করেছে।

ইন্টারটেক টেস্টিং সার্ভিস জানায়, দাম কমলেও দেশটির পাম অয়েল রফতানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে। ১-১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রফতানি আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে অ্যামসপ্যাক এগ্রি মালয়েশিয়ার দেয়া তথ্যানুযায়ী রফতানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

মালয়েশিয়ায় গত মাসে পাম অয়েল উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী। ফলে দেশটিকে চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়াতে হয়েছে। এ কারণেই নভেম্বরের শেষ দিকে পাম অয়েলের মজুদ কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

মালয়েশিয়া পাম অয়েল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ। রয়টার্সের সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী, গত মাসে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ এক মাসের ব্যবধানে দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ৯০ হাজার টনে। ছয় ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের মতামতের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

অক্টোবরের তুলনায় গত মাসে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন ৫ শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ২০ হাজার টনে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাথিয়া ভারকা বলেন, আবহাওয়ায় লা নিনার প্রভাব গত মাসে জোরদার হয়েছে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদনে। গত মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৩ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টনে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ