ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে বেগুনি ফুলকপির। বাজারে তুলনামূলক সাধারণ ফুলকপির চেয়ে বেগুনি ফুলকপির চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি।

জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ বেগুনি ফুলকপি বাণিজ্যিক ভাবে এখন চাষ হচ্ছে।

ভাদসা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলীর জমিতে আয়োজিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বেগুনি ফুলকপির খাদ্য গুণাগুণ ও বাণিজ্যক ভাবে লাভবান হওয়ার বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কায়সার ইকবাল।

ভাদসার গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলী ১৫ শতাংশ জমিতে এবার বেগুনি ফুলকপি চাষ করেছেন । এ বেগুনি ফুলকপি চাষে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। বেগুনি ফুলকপি দেখতে সাধারণ ফুলকপির মতো তবে ফুল ফলের রং শুধু বেগুনি। চাষ পদ্ধতি বাধা বা সাধারণ ফুলকপির মতো।

ইতোমধ্যে বাজারে ১৫ হাজার টাকার বেগুনি ফুলকপি বিক্রি করেছেন আমেদ আলী। জমিতে থাকা বেগুনি ফুলকপি এখনও ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আমেদ আলী।

ফলে বেগুনি ফুলকপি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়সার ইকবাল। বেগুনি ফুলকপি চাষি আমেদ আলী জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে তিন হাজার বেগুনি ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। চারা রোপণ থেকে ৬৫ দিন মেয়াদী এ বেগুনি ফুলকপি চাষে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার টাকা। প্রথম দিকে প্রতিটি বেগুনি ফুলকপি ৫০ টাকা পিস বিক্রি হয়েছে।

বর্তমান বাজারে একেকটি ৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কৃষক আমেদ আলী। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সার্বিক তত্বাবধানে বিষমুক্ত ভাবে এ বেগুনি ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে।

পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ বেগুনি ফুলকপি চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান জাকস ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শাহিন।

পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিটের অধীন উচ্চ ফলনশীল জাতের বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ