নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজধানীর বাজারগুলোতে চীন দেশীয় চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশে উৎপাদন হওয়া দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আকার ও খোসা ছড়ানোর সুবিধার্থে চায়না রসুনের চাহিদা বেশি এবং দেশীয় রসুন শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আগ্রহ কমছে ক্রেতাদের।

এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। তবে  রমজানে বাজারে সবজির দাম কম থাকলেও বেশি দামে এখনও বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শসা।

শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

পড়তে পারেন: শুকনা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ৩৫ টাকা

মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা রহিম উদ্দীন বলেন, চাহিদা কম থাকায় ডিমের দাম কমেছে। রোজায় মানুষ ডিম কম খায়। এছাড়া বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। সাতদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা কেজি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা ফারুক বলেন, বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বাড়ছে-কমছে। গতকাল পহেলা বৈশাখ থাকায় মুরগির দাম বাড়তি ছিল বাজারে। আজকে শুক্রবার মুরগির দাম কম। শুধু লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। বাজারে কমেছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৯০০ টাকা।

পড়তে পারেন: ডিমের অস্বাভাবিক দরপতনে হতাশ পোল্ট্রি খামারিরা

এসব বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।

টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা, সাজনার কেজি ১৪০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

শেওড়াপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে-কমছে। এখনও দাম বাড়তি আছে শসা ও বেগুনের। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

পড়তে পারেন: বেড়েছে সবজির দাম, কাঁচামরিচে স্বস্তি

অপরদিকে এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। দুই কেজির তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ