চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে ২ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙা গ্রামের কৃষক মতিন আলী। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ সেখানে ছুটে যান।

উপজেলা ছাত্রলীগের ৪০ জন নেতাকর্মী নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-মামুন তুষার সোমবার সকালে থেকে কৃষক মতিন আলীর ২ বিঘা জমির ধান কেটে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক মতিন আলী অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অন্যের চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। শ্রমিকরা সবাই ধান কাটতে উপজেলার বাইরে চলে গেছে। এছাড়াও এলাকা যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা আল-মামুন তুষার ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার দুই বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল-মামুন তুষার বলেন, ধান কাটার প্রতি মৌসুমেই চারঘাট উপজেলা থেকে শ্রমিকরা নাটোর, নওগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে যায়। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারনে শ্রমিক সংকট হওয়ায় কৃষক মতিন মিয়া দুই বিঘা জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন।

কৃষক মতিনের অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ