চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: চলছে আষাঢ় মাস। ভারি বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা জুড়ে কয়েকদিন ধরে মাঝে মধ্যেই চলছে ঝিরি-ঝিরি বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পর থেকে উপজেলার মাঠ জুড়ে বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় বীজ ধান রোপনে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার কৃষকরা।

জানা যায়, এই উপজেলায় বোরো ধানের চাষ তেমন হয় না। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের চাষ ব্যাপক পরিমানে হয়। তাই স্বস্তির বৃষ্টিতে উপজেলা জুড়ে চলছে বীজতলা তৈরি ও বীজ ধান রোপনের কর্মযজ্ঞ।

সরেজমিনে গতকাল উপজেলার নিমপাড়া, ভাটপাড়া, শলুয়া, পরানপুর, রাওথাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় ধান রোপন করছেন। আবার কেউ বা ধান চাষের জমি প্রস্তুত করছেন।

এসময় ব্যস্ততা দেখেও কথা বলতে চাইলে উপজেলার নিমপাড়া এলকার ধান চাষী আব্দুল কাদের বলেন, আরো কিছুূদিন আগে বৃষ্টি হলে আমাদের জন্য বেশি ভাল হতো। তবে তারপরও এ বছর গতবারের চেয়েই আগেই বীজতলা তৈরি করতে পারছি। বৃষ্টি না থাকায় চিন্তায় ছিলাম। গত কয়েকদিন একটু বৃষ্টি হওয়ায় আজ বীজতলায় ধানের চারা দিচ্ছি।

ধান চাষী রফিক মিয়া বলেন, সেচ দিয়ে ধান চাষ অনেক খরচের বিষয়, আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকই বর্গা চাষী। এদের নিজের জমি নেই, অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। এমনিতেই যে টাকা খরচ করে ধানের চাষ করা হয় ধান বিক্রয় করে সে টাকা আয় হয় না। এছাড়াও প্রতিটি জমিতে পানি সেচের সুব্যবস্থা না থাকায় বেশি টাকা ব্যায় করে পানি সেচ দিয়ে চাষবাদ করার সামথ্য সবার নেই। তাই আমরা আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতেই বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকি।

এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, চলতি মৌসুমে চারঘাট উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকাতেই কৃষকরা বীজ তলা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্র পুরণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ