সজিব ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে লু হাওয়ায় পুড়ে গেছে ২৩ বিঘা জমির ধান। তবে কৃষকদের ভাষ্য মতে, ধান নষ্ট হওয়া জমির পরিমাণ আরও বেশি। তীব্র তাপমাত্রায় ধানগাছ শুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে হিটশক বলছেন কৃষিবিদরা।

চলতি মাসের ৪ এপ্রিল বিকেল হঠাৎ রাজশাহীর ওপর দিয়ে বৃষ্টিহীন ঝড় বয়ে যায়। বাতাসে আদ্রতা না থাকায় সদ্য ফোটা ধানের শীষগুলোর পানি শুকিয়ে যায়।ফলে শীষগুলো ধানের পরিবর্ত চিটায় পরিণত হয়। এ গরম বাতাস বা লু হাওয়ায় জমির ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুম উপজেলায় ২ হাজার ২৫০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ হয়েছে। আর কিছুূদিন পরই এসব জমির ধান কাটা শুরু হবে। এরই মধ্যে তাপদাহ ও ঝড়ে ২৩ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। গরম হাওয়ায় ধান নষ্ট হওয়ায় অনেক কৃষক ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এটা ধানের কোন রোগ না, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা যায়। তবে ঝড়ের আগে গরম দমকা হওয়ায় পুড়ে যাওয়া ধানের জমিতে এক ইঞ্চি পরিমাণ পানি মিশিয়ে পটাসিয়াম দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। সাথে প্রচণ্ড ধুলা আর গরম হওয়া বইতে থাকে। বৃষ্টি না হওয়ায় চলছে টানা তাপদাহ। ঝড়ের দু’দিন পর মাঠে গিয়ে দেখা যায় কিছু কিছু জমিতে সবুজের পরিবর্তে ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলে এবার ধানের ফলন কম হবে।

চারঘাট ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আমার ২ বিঘা জমি ধান রয়েছে। গত কয়েকদিনে এমনিতে এ অঞ্চলের প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। এরমধ্যে গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে দুই দিন পর মাঠে গিয়ে দেখি ধানের শীষে সাদা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। ফলে ফলনে কিছুটা কম হতে পারে ধারণা এই কৃষকের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, এরইমধ্যে আমরা মাঠে গিয়ে ধানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছি। এ অঞ্চলে টানা তাপদাহের পর গত ৪ এপ্রিল ঝড়ের আগে গরম দমকা বাতাস বয়ে যায়। অতিমাত্রায় গরম বাতাসে তেইশ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধানের জমিতে দেড়- তিন ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখতে হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ