ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গোলমরিচ চাষ হচ্ছে। আলাদা কোন জমির প্রয়োজন ছাড়াই চা বাগানে নতুন ফসল গোলমরিচ চাষে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা।

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে চা বাগানে সারি সারি গাছের সঙ্গে পেচানো রয়েছে লতানো পানের পাতা। আসলে তা গোলমরিচের গাছ। এমন দৃশ্য দেখা মিলেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায়।

এক বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, ২২ বছর ধরে এখানে গরম মসলা জাতীয় গোলমরিচের চাষ হয়ে আসছে। ৫০টি গাছে গোলমরিচ লাগানো হয়েছে। ফাল্গুন মাস এলে মরিচ পরিণত হয়। প্রতিবছর ১ মণ গোলমরিচ বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গোলমরিচ চাষের প্রদর্শনী প্রকল্প করা হয়েছিল। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও গোলমরিচ চাষ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

গোলমরিচ রফতানিতে শীর্ষে ভিয়েতনাম

ছাদ বাগানে যেসব চাষ করতে পারেন

চাষ করুন বিপুল সম্ভাবনাময় মসলা ফসল দারুচিনি

এবার সব ধরণের মসলার কেজিতে বাড়লো ১০০ টাকা

রাজনগর চা বাগানের শ্রমিক ভীম দুছরা ও অমূল্য নাইডু বলেন, গোলমরিচের লতাগুলো যে কোনো গাছের সঙ্গে পেচিয়ে দিলেই হয়। আগস্ট থেকে ফল আসতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি মাসে পরিণত হয়। এ সময় পাকা গোলমরিচ সংগ্রহ করা হয়।

রাজনগর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু হয়। বর্তমানে প্রসার হয়েছে। বাগানের মাটি গোলমরিচ চাষের উপযোগী। খালি জায়গায় সেড দিয়ে গোলমরিচের গাছ লাগানো যায়।

মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, জেলার বিভিন্ন চা বাগানে ১০০ হেক্টর জমিতে গোলমরিচ চাষ হচ্ছে। গোলমরিচের দামও ভালো। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে গোলমরিচ চাষের প্রদর্শনী প্রজেক্ট করা হয়েছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও চাষ হচ্ছে।

চা বাগানে নতুন ফসল গোলমরিচ চাষে সাফল্য সংবাদের তথ্য জাগো নিউজ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ