অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আগে চোরাই পথে ভারত থেকে জিরা আসত। এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হচ্ছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে।

আমদানি করা জিরার দাম কমেছে। আগামী দিনগুলোয় দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা সংকটও রয়েছে। বিক্রি করতে না পারায় অনেক আমদানিকারক বন্দর থেকে জিরা খালাস করছেন না।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১২১টি ট্রাকে ৩ হাজার ৩০৫ টন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১১৩টি ট্রাকে ৩ হাজার ৯৭ টন, মার্চে ৭২টি ট্রাকে ১ হাজার ৯৬৫ টন, এপ্রিলে ৯০টি ট্রাকে ২ হাজার ৫১৭ টন এবং মে মাসে ১১০টি ট্রাকে ৩ হাজার ২৮ টন জিরা আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, আগে চোরাই পথে ভারত থেকে জিরা আসত। এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হচ্ছে। বাজারে ভালো সরবরাহ থাকায় দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকার মতো কমেছে। প্রতি কেজি জিরা ৩৮৫-৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক সারোয়ার হোসেন বলেন, আগে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি করা হলেও বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। কিন্তু আমদানি বাড়লেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে অনেক আমদানিকারক বন্দর থেকে জিরা খালাস না করে বন্দরের শেডেই রেখে দিয়েছেন।

বর্তমানে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতি টন জিরা প্রকারভেদে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে, যা কাস্টমস ১ হাজার ৮৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করছে। প্রতি টন জিরা আমদানিতে শুল্ক বাবদ ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম বলেন, বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরেই জিরা আমদানি হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে আমদানি বেড়েছে। এতে হিলি স্থলবন্দর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় রাজস্ব আহরণ কিছুটা সহজ হচ্ছে। জিরা আমদানিতে সরকার নির্ধারিত ৫৮ শতাংশ শুল্ক রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। তবে বন্দর থেকে ব্যবসায়ীদের জিরা খালাস নেয়ার কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে। বর্তমানে বন্দরের শেডগুলোয় ৫৩০ টন জিরা হল্টেজ অবস্থায় রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ