ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: “পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত,সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত।” কবি জসিমউদ্দিনের ধানক্ষেত কবিতার সবুজ ধানের দোলার বদলে এখন মাঠে শোভা পাচ্ছে বেগুনি ধান (পার্পল লিফ রাইস)।

গাজীপুরের শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলায় এ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। এখানেই দেশে প্রথমবারের মতো বেগুনি ধান চাষ করেছেন বেকাশহরা গ্রামের কৃষক এনামুল হক ও শৈলাট গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ।  জেলার এ দুই উপজেলায় এবার ০.৫৮০ হেক্টর জমিতে নতুন এ ধানের চাষ হয়েছে। সেইসাথে বেগুনি ধানের প্রতি কৃষকসহ স্থানীয়দের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এখনো বাংলাদেশে অনুমোদন পায়নি এ জাতের ধান। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) উদ্ভাবিত এ ধান ভিন্ন রংয়ের হলেও এর বিশেষ কোনো গুণের কথা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। হেক্টরপ্রতি এ ধান ৪-৫ টন উৎপাদন হয়।

শৈলাট গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এবার ১০ শতাংশ জমিতে বেগুনি ধান চাষ করেছি। এখন প্রতিদিন এলাকার কৃষকরা ছাড়াও উৎসুক মানুষ নতুন জাতের এই ধান দেখতে ছুটে আসছেন। ছবিও তুলছেন অনেকে। ফলন যাই হোক; সবার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে এ বেগুনি ধান নিয়ে।’

শ্রীপুরের বেকাশহরা গ্রামের কৃষক এনামুল হক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ জাতের ধানের কথা জানতে পারি। পরে শখের বশে বীজ সংগ্রহ করে টেংরা-বরমী সড়কের পাশে ৩৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করি। এখন দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে ধানের জমি। পথচারীসহ অনেকেই এ ধান দেখতে আসেন।’

গাজীপুর জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মূলত চীন থেকে আগত ধানের জাত এটি। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ধরণের জাতের মধ্যে আলাদা করার জন্য এটি আনা হয়েছে। উচ্চফলনশীল না হলেও অনেকেই শখের বশে এ জাতের ধান চাষ করছেন। এ জাতের ধানের তেমন ফলন নেই গড়পরতা, হেক্টরে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ